শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

আফগানিস্তানকে সাহায্যের জন্য আমেরিকাকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহবান তালিবানের

মঙ্গলবার, জুন ২৮, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চলমান নিউইয়র্ক ডেস্ক: আফগানিস্তানের জব্দ করা বিদেশী তহবিল অবমুক্ত করার ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য আমেরিকার প্রতি আহবান জানিয়েছে তালিবান। শনিবার (২৫ জুন) তারা আহবান জানান।

মানবিক সংস্থাগুলো, তালিবান কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে বুধবারের (২২ জুন) পাঁছ দশমিক নয় মাত্রার ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আফগানিস্তানের দুইটি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাকতিকা ও খোস্তের পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

শনিবার (২৫ জুন) জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কিছু অসমর্থিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, ছয়টি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে তিনটিতে প্রায় ৭০০-৮০০ পরিবার এখনো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘অক্ষত ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে বসবাসকারী পরিবারগুলো আরো কম্পন হতে পারে, এ ভয়ে খোলা জায়গায় বসবাস করতে শুরু করেছে।’

তালিবান কর্মকর্তাদের মতে, ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ১৫০ জন নিহত হয়েছে ও আহত হয়েছে প্রায় এক হাজার ৬০০ মানুষ। এ ছাড়া প্রায় তিন হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস ও শত শত আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তান সীমান্তের কাছে দরিদ্র ও সবচেয়ে প্রত্যন্ত পার্বত্য আফগান এলাকায় এ ধ্বংসলীলা আঘাত হেনেছে, যেখানে এ মাত্রার বিপর্যয় মোকাবেলার অবকাঠামোর যথেষ্ট অভাব রয়েছে।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের মতে, নিহতদের মধ্যে অন্তত ১২১ জন শিশু ছিল ও এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

আফগান কর্তৃপক্ষ জীবিতদের অনুসন্ধান বন্ধ করে দিয়েছে ও সক্ষমতার অভাবের কারণে তারা জরুরি প্রয়োজনীয় সাহায্য সরবরাহ করার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।

তালিবানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি শনিবার (২৫ জুন) রাজধানী কাবুলে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এ কঠিন সময়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তানের জব্দকৃত সম্পদ ছেড়ে দিতে ও আফগান ব্যাংকগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহবান জানাচ্ছি, যাতে সাহায্যকারী সংস্থাগুলো সহজেই আফগানিস্তানে সহায়তা করতে পারে।’

বলে রাখা ভাল, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ফেব্রুয়ারিতে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন, যার লক্ষ্য ছিল আমেরিকার মাটিতে জমাকৃত আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদের অর্ধেক, যা প্রায় ৭০০ কোটি ডলার অবমুক্ত করা। ওই অর্থ আফগান জনগণের উপকারের জন্য ব্যবহার করা হবে ও বাকি অর্থ তালিবানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-সম্পর্কিত মামলাগুলো পরিচালনার জন্য রাখা হবে।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন