ক্যালিফোর্নিয়া: রেকর্ড গড়ার মিশন শেষে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরেছে নাসার নতুন চন্দ্রযাত্রার নভোযান ওরিয়ন। তিনটি প্যারাশুটে ভর করে ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরে নেমে আসে মানুষবহনে সক্ষম ওই ক্যাপসুল।
ওরিয়নের সফল অবতরণের সাথে সাথে শেষ হল আলোচিত আর্টেমিস ওয়ান মিশন। ১৬ নভেম্বর ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চপ্যাড ৩৯বি থেকে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম ,এসএলএস রকেটে চড়ে শুরু হয়েছিল ওরিয়নের চন্দ্রযাত্রা। আর্টেমিস টু মিশনে মানুষ নভোচারীদের চাঁদের কক্ষপথে পাঠানোর আগে মহাকাশের প্রতিকূল পরিবেশে ওরিয়নের কার্যক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা প্রয়োজন ছিল। ২৫ দিনের আর্টেমিস ওয়ান মিশনে সেটাই দেখেছে নাসা। এর পরের ধাপে আর্টেমিস টু মিশনে নভোচারীদের বহন করবে ওরিয়নের ক্রু মডিউল।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) নাসা ও মানবসভ্যতার জন্য বড় বিজয় হিসেবে বর্ণনা করে সংস্থার পরিচালক বিল নেলসন বলেছেন, ‘ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফটের সফল অবতরণ, যা কি না অ্যাপলো সেভেনটিন মিশনের চাঁদে অবতরণের ঠিক ৫০ বছর পরে হল, আর্টেমিস ওয়ান মিশনের সবচেয়ে বড় অর্জন।’
মিশনে দুই বার চাঁদের কাছ দিয়ে উড়ে গেছে ওরিয়ন ,এক পর্যায়ে চন্দ্রপৃষ্ঠের ৮০ মাইল দূরে ছিল স্পেসক্র্যাফটি। পৃথিবী থেকে দুই লাখ ৭০ হাজার মাইল দূরে গিয়ে ফেরত এসেছে ওরিয়ন। কোন স্পেস স্টেশনের সাখে যুক্ত না হয়ে নভোচারীদের বহনের জন্য নির্মিত মহাকাশযানের সবচেয়ে বেশি দূরত্ব পাড়ি দেয়ার রেকর্ড গড়েছে এটি, আগের রেকর্ডটি ছিল অ্যাপলো থার্টিনের।
ওরিয়নের সফল অবতরণে পর নাসা এখন পরবর্তী মিশনের প্রস্তুতি শুরু করবে বলে জানিয়েছেন নাসার সহকারী পরিচালক জিম ফ্রি।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের আগেই ওরিয়নের ক্রু মডিউল থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল,ই উরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বা ইএসএ নির্মিত সার্ভিস মডিউল। নাসা জানিয়েছে, বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় মহাকাশযানটির বাইরের স্তরের তাপমাত্রা ছিল প্রায় পাঁচ হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট, যা সূর্যপৃষ্টের তাপমাত্রার প্রায় অর্ধেক।
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন