গাজা, ফিলিস্তিন/ইসরাইল: ইসরাইলের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছেন আন্তর্জাতিক মানবিক আইন বিশেষজ্ঞ ও নয়াদিল্লির সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শ্রীনিবাস বুরা। তিনি বলেছেন, যুদ্ধের নিয়ম মানছে না ইসরাইল।‘
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) আলজাজিরার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বুরা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যুদ্ধের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। যুদ্ধ অবশ্যই যোদ্ধাদের মধ্যে থাকতে হবে। এটি যুদ্ধের প্রথম নিয়ম। কিন্তু, ইসরাইল তা করছে না। ইসরাইল যেভাবে বেসামরিক লোকদের শাস্তি দিচ্ছে, তা স্পষ্টতই বেআইনি।’
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি অবরোধকে কেন্দ্র করে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী বাহিনী হামাস ইসরাইলে আশ্চর্যজনকভাবে হামলা শুরু করে। ইসরাইল হামলার প্রতিশোধ হিসাবে সোমবার (৯ অক্টোবর) গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধ ঘোষণা করে। যার কৌশলের অংশ হিসাবে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় এবং খাদ্য ও জ্বালানি ঢুকতেও বাধা দেয়।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মিসরও গাজায় তার ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। ছিটমহলের একমাত্র পাওয়ার প্ল্যান্টের বিদ্যুৎও ফুরিয়ে যাওয়ার ফলে অন্ধকারে ডুবে যায় পুরো গাজা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রী মাই আল-কাইলা জানিয়েছেন, এ সংকট হাসপাতালগুলোর বিপর্যয়কর পরিস্থিতিকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।’
গাজার আল-ওয়াফা হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর হাসান খালাফ বলেছেন, ‘অবরুদ্ধ ছিটমহলের হাসপাতালগুলো এরইমধ্যেই ইসরাইলের বোমা হামলার শিকার হয়েছে। গাজা উপত্যকায় বর্তমানে ১০০ নবজাতক বিদ্যুৎচালিত চিকিৎসা সরঞ্জামের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তারা বাচতে পারেনি। কারণ, তারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করত।’
খালাফ বলেন, ‘গাজায় বেঁচে থাকার জন্য ডায়ালাইসিস মেশিনের ওপর নির্ভর করে প্রায় এক হাজার ১০০ রোগী। ইসরাইলি অবরোধ একটি গণহত্যা।’
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিভাগের হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, ‘গাজা উপত্যকায় খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে ইসরাইলের এ নীতি আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ।’
এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নও গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধের সমালোচনা করেছে। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ‘ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।’
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন