শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু আগামী সপ্তাহে

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

গাজা উপত্যকা, ফিলিস্তিনী অঞ্চল: ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যথা শিগগির সম্ভব যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ কথা বলেছেন। যুদ্ধবিরতির এ চুক্তিতে হামাসের কাছে আটক বেশকিছু সংখ্যক জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলে থাকা ফিলিস্তিনী বন্দীদের ছেড়ে দেয়ার কথা রয়েছে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্যে মিসর, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সসহ অন্যান্যরা প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। আলোচনা এখনো চলছে।

তারা ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ও হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলী জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে কাজ করছেন। একইসাথে ইসরায়েলে আটক শত শত ফিলিস্তিনী বন্দীকেও মুক্তি দেয়া নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি কবে নাগাদ শুরু হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে বাইডেন বলেছেন, ‘আমি আশা করছি, আগামী সোমবার (৪ মার্চ) নাগাদ যুদ্ধবিরতি শুরু হবে।’

তবে, তিনি এও বলেছেন, ‘আমরা চুক্তির কাছাকাছি আছি। এখনো চুক্তির কাজ সম্পন্ন হয়নি।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা আলোচনা ইতিবাচক দিকেই যাচ্ছে বলে আভাস দিয়েছেন।

কিন্তু, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ‘যে কোন যুদ্ধবিরতিই গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় স্থল অভিযানকে বিলম্বিত করবে, কিন্তু প্রতিহত করতে পারবে না। কারণ, হামাসের বিরুদ্ধে পুরো জয়ের জন্যে সেখানে অভিযান চালানো প্রয়োজন।’

এ দিকে, ইসরায়েল গেল পাঁচ মাস ধরে গাজার সব শহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসছে। এ প্রেক্ষিতে প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনী এখন রাফায় আশ্রয় নিয়েছে।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বলা হয়েছে, ‘রাফা থেকে বেসামরিক ফিলিস্তিনীদের সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী যুদ্ধকালীন কেবিনেটকে দেখিয়েছে।’

তবে, বাস্তুচ্যুত এসব লোক কোথায় যাবে, তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।

সিএন/আলী

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন