নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩’ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল। একুশের এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী-আমেরিকান নাগরিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও কমিউনিটি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কনুস্যলেটে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদমিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এসময় কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, বাণিজ্যিক ও কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ৫২’র ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র দেখানো হয়। এসময় মনিরুল ইসলাম ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামের এক স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। তিনিই প্রথম বারের মত জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বিশ্ববাসীর সাথে বাংলাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। যা জাতি হিসেবে আমাদেরকে গৌরবান্বিত করেছে।’
মনিরুল ইসলাম নিউইয়র্ক শহরে একটি স্থায়ী শহিদ মিনার স্থাপনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চায় যুক্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা ভাষাকে আরও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে ৫২’র সব ভাষা শহিদ, শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়াও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
সিএন/এমএ
Views: 0
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন