নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) করোনা ভাইরাস মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি আর্থিক ও বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস শোয়াব তার অবস্থানস্থল হোটেলে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে অংশগ্রহণের ফাঁকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর আজকের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ডব্লিউইএফের মধ্যে সহযোগিতা ভবিষ্যতে বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
শোয়াব আগামী জানুয়ারিতে ডাভোসে ডব্লিউইএফ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সদর দফতরের দ্বিপাক্ষিক বুথে স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বোরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পরে, জাতিসংঘের সদর দফতরের দ্বিপাক্ষিক বুথে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসোর সাথে প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উভয় নেতা বাংলাদেশ ও ইকুয়েডরের মধ্যে সহযোগিতার দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
অন্য দিকে, স্বল্পোন্নত দেশ, ল্যান্ডলক্ড ডেভেলপিং কান্ট্রিস অ্যান্ড স্মল আইল্যান্ড ডেভেলপিং স্টেটসের (ইউএন-ওএইচআরএলএলএস) হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের কার্যালয়ে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার হোটেলে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ওএইচআরএলএলএস এলডিসি দেশ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করতে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে; যাতে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতষ্ঠানগুলো বৈশ্বিক সংকটের সময় কঠোর শর্ত আরোপ না করে সহায়তা করে।
রাবাব ফাতিমা প্রধানমন্ত্রীকে ২০২৩ সালের মার্চে দোহায় অনুষ্ঠেয় এলডিসি-৫ সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
শেষে, মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সেও প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার হোটেলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক কক্ষে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। নিক ক্লেগ তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের প্রশংসা করেন। এ সময় তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ ও মেটার মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাব্য দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করে, নিক ক্লেগ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ইন্টারনেট-ভিত্তিক ব্যবসায়ের চলমান উন্নয়নে মেটার পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন