চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর উত্তর বন্দর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত এগারোটার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন উত্তর বন্দর এলাকার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম বদনীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় বিএনপির দু’গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. মামুন খানের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। রাত ১১টার দিকে ২০-৩০ জন লোক মোটরসাইকেলে এসে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম বদনীর বাড়ির আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবুল কালামের ঘরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ধাওয়া করলে কয়েকটি মোটরসাইকেল ফেলে হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। পুরো এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হামলাকারীরা কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, রাতে সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে কিছু বহিরাগত লোক নিয়ে আমাদের এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়ে। এ সময় তাদের হাতে ছিল দেশি অস্ত্র ও লাঠি। হঠাৎ এলাকার মানুষদের মারধর করে আবুল কালামের পরিবারকে জিম্মি করে রাখে। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ধাওয়া করলে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় কয়েকটি সূত্র বলছে, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিনের অনুসারী বিএনপির সদস্য মো. মামুন খানসহ তার দলবল এই হামলা চালায়। লায়ন হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকার পরিবর্তনের পর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা নেয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এ নিয়ে একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল।
তবে এসব বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ বা মামলা করেনি। অভিযোগ বা মামলা করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন