শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

শিরোনাম

কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ভারত-পাকিস্তানের পাশে থাকার ঘোষণা ট্রাম্পের

মঙ্গলবার, মে ১৩, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা নিরসনে দুই দেশের শান্তি চেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

রোববার (১১ মে) ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে, যা অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্র এই শান্তি প্রচেষ্টার অংশ হতে পেরে গর্বিত।”

তিনি আরও বলেন, “কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধানে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতেও কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” দুই দেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, এই শান্তি চুক্তি দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

তিনি লেখেন, ভারত ও পাকিস্তানের শক্তিশালী ও অটল নেতৃত্ব যেভাবে বুঝেছে যে আরও আক্রমণ চালানো বিপর্যয় ডেকে আনতে পারত, তা থেকে সরে আসার জন্য যে প্রজ্ঞা ও ধৈর্য তারা দেখিয়েছে, তা প্রশংসনীয়।

তিনি আরও লেখেন, লাখ লাখ নিরীহ মানুষ মারা যেতে পারত! এই সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে তোমাদের নেতৃত্ব চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র এই শান্তি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।  ট্রাম্প বলেন, এই ঐতিহাসিক ও বীরোচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত।

যদিও এই আলোচনায় কাশ্মীর ইস্যু সরাসরি অন্তর্ভুক্ত ছিল না, তবে ট্রাম্প বলেন, আমি দুই দেশের সঙ্গে কাজ করব, যাতে হয়তো ‘হাজার বছরের’ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান আনা যায়। 

তিনি আরও লেখেন, ভারত ও পাকিস্তানের নেতৃত্বকে অভিনন্দন — ভালো কাজের জন্য ঈশ্বর আশীর্বাদ করুন!

ট্রাম্প একই সঙ্গে জানান, তিনি পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছেন এবং দুই দেশকেই মহান রাষ্ট্র বলে উল্লেখ করেন।

এর আগে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান একটি আকস্মিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়, যা দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত রোধে সহায়ক হয়।

তবে, এই চুক্তি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন। রাতেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এফও) এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানায়, ইসলামাবাদ এই চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন