শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

কুড়িগ্রামের রৌমারীর কুকুরমারা সীমান্তে বিএসএফ কতৃর্ক বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদ

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২২

প্রিন্ট করুন

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার কুকুরমারা সীমান্তে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কতৃর্ক বাংলাদেশী যুবক ফরিদুল ইসলামকে (২১) হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গণ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, ‘২০২২ সালের ১ জানুয়ারি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একজন বাংলাদেশীকে হত্যা করে বিএসএফ বাংলাদেশকে নব বর্ষে লাশ উপহার দিয়েছে। এটি কোন ধরণের বন্ধুত্বের নমুনা? বন্ধুর বুকে বন্ধু কখনো গুলি চালায়, এটি পৃথিবীতে নজিরবিহীন। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) একজন নিরীহ-নিরস্ত্র বাংলাদেশী যুবক ফরিদুল ইসলামকে কুকুরমারা সীমান্তে হত্যা করে বিএসএফ লাশ নিয়ে যায়। আমাদের সরকার এখনো নিশ্চুপ। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী প্রতিবাদ জানাতে ব্যর্থ হলে লাশ গ্রহণের সীমান্তে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘২০০০-২০২১ পর্যন্ত ২১ বছরে প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশের নাগরিক সীমান্তে হত্যার ধারাবাহিকতায় এ হত্যা। যা খুবই নিন্দনীয়। সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের সরকার ও বিবেকবানদের নির্বাক থাকা সন্দেহজনক ও হতাশাব্যঞ্জক। বার বার সীমান্ত হত্যা, সার্বভৌমত্বের লংঘন, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অবহেলার সামিল। জাতি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে ভারত শ্রদ্ধা ও সম্মান করে না। যা মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে ভুলুন্ঠিত করছে।’

মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, ‘২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি নিরস্ত্র-নিরীহ কিশোরী ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখার লাশের ছবি এখনো পৃথিবীর সব মানবতাবাদী মানুষের বুকে রক্তক্ষরণ করে। বিচারের আশায় ফেলানীর মা-বাবা, বাংলাদেশ ও সারা বিশ্ব। ক্ষতিপূরণ পায়নি নিরীহ ফেলানীর পরিবার। নতজানু পররাষ্ট্র নীতি ত্যাগ করে স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করতে পারলেই বাংলাদেশ প্রতিবাদে সক্ষম হবে।’

তিনি সীমান্ত হত্যা ও সার্বভৌমত্ব লংঘনের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন