শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

গাজায় যুদ্ধবিরতি চান যুক্তরাষ্ট্রের ৬৮ শতাংশ নাগরিক

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
Untitled design (5)
Untitled design (5)

প্যারিস, ফ্রান্স: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এক মাসের বেশি সময় ধরে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না মসজিদ, গির্জা, হাসপাতালও। আর এ যুদ্ধে ইসরাইলকে বড় আকারের সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকসহ সব ধরনের সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, নতুন এক জরিপ অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৬৮ শতাংশ নাগরিক মনে করেন, গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতিতে ইসরাইলের রাজি হওয়া উচিত।

ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক ইপসোস নামের জরিপ সংস্থার এক সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বুধবার (১৫ নভেম্বর) আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, মাত্র ৩২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইসরাইলকে সমর্থন করা। এর আগে যুদ্ধ শুরুর কয়েক দিন পর ১২-১৩ অক্টোবরে পরিচালিত আরেকটি জরিপ থেকে যা ৪১ শতাংশ কম।’

জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ৬৮ শতাংশ বলেছেন, ‘ইসরাইলের উচিত দ্রুত একটি যুদ্ধবিরতি আহ্বান করা ও আলোচনার চেষ্টা করা। তবে জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ৩৯ শতাংশ মার্কিনি মনে করেন, গাজা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখা উচিত। এর আগের একটি জরিপে ২৭ শতাংশ মার্কিন নাগরিক এ মত জানিয়েছেন।’

মাত্র চার শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করা উচিত। আর জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১৫ শতাংশ বলেছেন, গাজা যুদ্ধে কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত হওয়া উচিত নয়।’

যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও মাত্র ৩১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, ‘তারা ইসরাইলকে অস্ত্র পাঠানো সমর্থন করেন।’

গেল ৭ অক্টোবর ইসরাইলের পাল্টা হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশুসহ ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।

এ দিকে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বেসামরিক হতাহত এড়াতে ইসরাইলকে মৌখিকভাবে সতর্ক করলেও, গোপনে নেতানিয়াহু বাহিনীকে সামরিক সহায়তা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্টের গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইসরাইলের অনুরোধে অস্ত্র বহনকারী অ্যাপাচি বিমানে আরো বেশি পরিমাণে লেজারযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র, ১৫৫ মিলিমিটার শেল, নাইট ভিশন ডিভাইস, বাংকার ধ্বংসকারী যুদ্ধাস্ত্র, নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও সাঁজোয়া যান অন্তর্ভুক্ত করেছে পেন্টাগন।’

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন