শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

গাজা এখন ‘শিশুদের কবরস্থান’

বুধবার, নভেম্বর ৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সোমবার (৬ নভেম্বর) সতর্ক করে বলেছেন, ‘ব্যাপক বোমাবর্ষণের কারণে গাজা উপত্যকা এখন ‘শিশুদের কবরস্থান’এ পরিণত হয়েছে।’ সেখানে এমন পরিস্থিতির কারণে তিনি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইউর্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমন বিপর্যস্ত পরিস্থিতির কারণে প্রতি ঘণ্টায় মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা আরো জরুরি হয়ে পড়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলকে এই অমানবিক ভোগান্তি বন্ধ করতে ও গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা বাড়াতে হবে।’

অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘গাজার দুঃস্বপ্ন একটি মানবিক সংকটের চেয়েও বেশি। এটি একটি মানবতার সংকট।’

ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গেল ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠান ও বিভিন্ন ঘরবাড়িতে চালানো হামাসের ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে এক হাজার ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামাসের হামলায় নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। হামাসের হামলার প্রথম দিনে তাদের নির্বিচারে গুলি করে ও পুড়িয়ে মারার এবং ২৩০ জনেরও বেশি লোককে জিম্মি করার পর ইসরায়েল গাজা অবরোধ করে ও সেখানে ব্যাপক বোমা হামলা চালায়।’

গাজায় হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় দশ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এদের প্রায় অর্ধেক নারী ও শিশু।

সেখানে ইসরাইয়েলের বাহিনীর হামলায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে ও ১৫ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের হত্যার জন্য গুতেরেস দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সাংবাদিকদের সুরক্ষার দেয়ার ব্যাপারে গঠিত নিউইয়র্ক ভিত্তিক ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’র (সিপিজে) মতে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধে কমপক্ষে ৩৬ জন সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছে।

গুতেরেস বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও অক্সিজেন সরবরাহ ছাড়া ইনকিউবেটরে থাকা শিশু ও লাইফ সার্পোটে থাকা রোগীরা মারা যাচ্ছে। গাজায় এখন এমন ঘটনাই ঘটছে।’

তিনি বলেন, ‘এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে এখনি মানবিক যুদ্ধবিরতি পালন করা জরুরি। এক্ষেত্রে, সব পক্ষের আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’

গুতেরেস ফের বলেন, ‘আমরা গাজায় আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করছি।’

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন