চলমান নিউইয়র্ক ডেস্ক: দেশের প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরিগুলোতে ঘুষের মাধ্যমে চাকরি দেয়া-নেয়ার প্রবণত দেখা যায়। যা ইসলামি বিধান অনুযায়ী সম্পূর্ণ হারাম। এক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে, যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন, তাদের আয় কি হালাল হবে?
মূলত ঘুষ দেয়া ও নেয়া স্পষ্ট হারাম। হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর রসুল (সা.) ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্রহণকারী উভয়কেই অভিসম্পাত করেছেন।’ (আবু দাউদ ৩৫৮২)
হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়া জায়েজ নয়। এভাবে চাকরি নিলে ঘুষ দেয়ার কারণে কবিরা গুনাহ হয়, আবার ঘুষ গ্রহণের কারণেও বড় গোনাহে লিপ্ত হয়। অন্য দিকে, ঘুষদাতা কর্মের অযোগ্য হলে অন্য যোগ্য চাকরিপ্রার্থীর অধিকার নষ্ট করার গুনাহও হয়।
কেউ যদি বাস্তবেই চাকরির যোগ্য হয় ও (ঘুষ প্রদান হারাম হওয়া সত্ত্বেও) ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়। আর পরে সে যদি যথাযোগ্য দক্ষতা ও নিপুণতার সাথে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে এভাবে চাকরি নেয়া অবৈধ ও গোনাহ হলেও বেতন হালাল হবে।
তবে, ঘুষদাতা যদি কর্মক্ষেত্রে অযোগ্য হয় ও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার জন্য ওই চাকরিতে থাকা বৈধ হবে না। আর ঠিকমত দায়িত্ব পালন না করে বেতন নেয়াও বৈধ হবে না। (তিরমিজি ১৩৩৭)
সিএন/আলী
Views: 0
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন