বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

চট্টগ্রামে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ শুরু

শনিবার, এপ্রিল ২৩, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী উল্লেখ করে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার সেখ ফজলে রাব্বি বলেছেন, ‘তাদের মধ্যে অসচেতনতার কারণে অনেকে অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভূগছে। আগামী ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদেরকে পুষ্টিসমৃদ্ধ জাতি গঠন অত্যন্ত জরুরী। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে পুষ্টি সেবা কার্যক্রম চলছে। জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে পুষ্টি কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের অনুমোদিত স্কুল, মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলোতে পুষ্টি কার্যক্রম বেগবান করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সকলের আন্তরিকতা ও সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সারা দেশে পুষ্টি সেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব ‘

শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের (২৩-২৯ এপ্রিল) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘সঠিক পুষ্টিতে সুস্থ জীবন।’

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বাস্তবায়নে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনা সভার আগে ফিতা কেটে সপ্তাহব্যাপী পুষ্টি কর্ণারের উদ্বোধন করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘সুস্থ সবল জাতি গঠনে পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই।  অপুষ্টি একটি জাতীয় সমস্যা। তা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা সকলের দায়িত্ব। সঠিক পুষ্টিতে সুস্থ জীবন, খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবতে হবে। কিশোর-কিশোরী ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত প্রয়োজন। নতুবা জন্মের পর শিশু অপুষ্টি ভূগে বিকলাঙ্গসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। জন্মের পর পর শিশুকে প্রথম ছয় মাস মায়ের দুধ ছাড়া অন্য কোন বিকল্প খাবার দেয়া যাবে না। এর পর দুই বছর পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশাপাশি নিরাপদ, সুষম ও ঘরে রান্নাকরা পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। তাহলে শিশু ভবিষ্যতে সুস্থ ও মেধাবী হবে। এসডিজির গোল অর্জনসহ কিশোর-কিশোরীদেরকে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতন করতে সরকার সারা দেশে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সর্বত্র ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে।’

জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আবু কাউসার মো. সারোয়ার, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার গোলাম মোস্তফা জামাল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. সেলিম উদ্দিন ও জেলা নিরাপদ খাদ্য আিফসার নাজমুস সুলতানা সীমা।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমওডিসি ডাক্তার মোহাম্মদ নুরুল হায়দার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডাক্তার মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন