শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

জবাবদিহিতা থাকলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হত না

রবিবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ নেই, নেই চিকিৎসার সুব্যবস্থা। আর বেসরকারি হাসপাতালে টাকা গুনতে গুনতে ফতুর হচ্ছে রোগির পরিবার। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের যেন মাথা ব্যাথাই নেই। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অব্যাবস্থাপনায় বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি।’

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) গণ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ‘ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে; যা ডেঙ্গুতে মৃত্যুর এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। সাধারণ মানুষের ধারণা- মৃতের সংখ্যা আরো বেশি। সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগি সংকুলান হচ্ছে না। স্যালাইনের অভাবে হাহাকার উঠেছে রোগীর স্বজনদের মাঝে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, স্যালাইনের কোন অভাব নেই। অথচ হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন নেই। ফার্মেসিতে ৯০ টাকা দামের স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২৫০-৩০০ টাকায়। রোগীদের অভিযোগ- নার্সদের মাধ্যমেই চিকিৎসা পাচ্ছেন রোগীরা। ২৪ ঘন্টায় এক বারো ডাক্তারের দেখা মেলে না সরকারি হাসপাতালে।’

তিনি বলেন, ‘অপর দিকে, বেসরকারি হাসপাতালে রোগিরা চিকিৎসা ও সেবা পেলেও গুনতে হচ্ছে বিপুল অংকের টাকা। বেসরকারি হাসপাতালে রোগীরা কেবিন ভাড়া, আইসিইউ ভাড়া, ওষুধ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরিদর্শণ বাবদ গুনতে হচ্ছে প্রায় লাখ টাকা। তবে, হাসপাতাল ভেদে এই খরচ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ রোগিদের চিকিৎসা নেয়ার সামর্থ্য নেই। সাধারণ মানুষ যেন স্বাভাবিক চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার হারিয়েছে।’

বিবৃতিতে গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ‘দুই সিটি কর্পোরেশন শুধু মশা মারার ওষুধ ছিটিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে। স্প্রে করা ওষুধে মশা মরছে কিনা তাও দেখার কেউ নেই। জবাবদিহিতা থাকলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হত না। ডেঙ্গু নির্মূলে সরকারের ব্যর্থতা সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না।’

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন