শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন অবান্তর, উদ্দেশ্য প্রণোদিত

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২২

প্রিন্ট করুন

কুমিল্লা: কুমিল্লার লাকসামে মাদ্রাসার জমি দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মানব বন্ধন ও অপসারণের দাবি অবান্তর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আইসিটি বিভাগ আয়োজিত ‘কুমিল্লা বিভাগীয় স্টার্টআপ ইনকিবেউশন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি শুনেছি, সরকারি খাস জমিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্বাবধানে ডিসি-ইউউএনও আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের ঘর দেয়ার গ্রহণ উদ্যোগ নিয়েছেন। কুমিল্লা, ঢাকা ও চট্টগ্রামে আমার নিজের বেশ কয়েকটি বাড়ি আছে, যেখানে থাকার লোক নেই। অনেক জমা-জমি আছে চাষ করার মানুষ নেই। আমি কেন তার বাড়ি ও মাদ্রাসার মাত্র ১১ ডিসিমাল জমি দখল করতে যাব, যার দাম ৫-১০ লাখ টাকার বেশি হবে না। এটি আমার বোধগম্য নয়।’

এ ব্যাপারে তিনি আরা বলেন, ‘কোন যৌক্তিক কারণে ওই জমি যদি তাদের প্রয়োজন পড়ে, তাহলে তারা প্রশাসনের কাছে বলতে পারত। আমি যেহেতু এলাকার সাংসদ, আমাকেও জানাতে পারতো। আমাকে জানালে ওখানকার পরিবর্তে অন্য জায়গায় ব্যবস্থা করা হত। আমি যখন শুনেছি, এখানে তাদের আপত্তি আছে। সাথে সাথে ডিসিকে ফোন করে স্থগিত রাখার কথা বলেছি। কিন্তু আমি যে বিষয়ে কিছুই জানি না, তা নিয়ে অভিযোগ তুলে মানব বন্ধন, আমার অপসারণের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ করা বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই। আমার মনে হয়, এটি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কেউ ঘটিয়েছে।’

সার্চ কমিটি প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে গণতান্ত্রকে রক্ষা করা, নির্বাচনে অংশ নেয়া। এখন তারা যদি সার্চ কমিটিতে নাম না দেয়। নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে সেটি দলের নিজস্ব বিষয়। তবে তাদের যদি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে, তাহলে ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতি ও জ্বালাও পোড়াও ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে বলে বিশ্বাস করি।’

কুমিল্লা শহরের উন্নয়ন ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রকল্প নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা জেলার সুপেয় পানি ও সুয়ারেজ সমস্যা সমাধানে কুমিল্লা ওয়াসা প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেয়া হবে।’

মন্ত্রী জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হয়। আমাদের দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কিছু সংখ্যক প্রার্থী নির্বাচিত হওয়াকে কেন্দ্র করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করার কোন সুযোগ নেই।’

কুমিল্লা জেলার প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এএফএম আব্দুল মঈন ও উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।

এছাড়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আবু তাহের উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, উদ্ভাবন সহায়ক ইকোসিস্টেম ও উদ্যোক্তা সংস্কৃতি তৈরি, তরুণ উদ্ভাবকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, প্রান্তিক পর্যায়ের তরুণদের মাঝে ব্যাপকভাবে উদ্ভাবনী ধারণাকে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগের আওতায় ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প’ তথা ‘আইডিয়া’ প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্প আওতায় কুমিল্লা ও এর আশপাশের জেলাগুলোর স্টার্টআপদের জন্য আগামী তিন দিনব্যাপি নিবিড় প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন