ঢাকা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ, বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি, নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি ও ঝরে পড়া রোধে চলতি বছরের জুন থেকে ফের চালু হচ্ছে স্কুল-ফিডিং প্রকল্প।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ তথ্য জানান।
রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, দারিদ্র পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং’ প্রকল্পটি ২০১০ সালে চালু হয়ে ২০২২ সালের জুন মাসে শেষ হয়। প্রকল্পটি দেশের ১০৪টি উপজেলায় চালু ছিল। সরকার দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ দিকে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থ সম্বলিত থাকায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের নামকরণ সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর করা হবে। এ ক্ষেত্রে, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সাথে মানানসই নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুবকর সিদ্দিক ও মো. মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রথম বারের মত অপেক্ষাকৃত দারিদ্র পীড়িত উপজেলাগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্কুল ফিডিং প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
সিএন/এমএ
Views: 0
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন