শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

টাকা ছাড়া কিছুই ‘বুঝেন না’ হাটহাজারী শিক্ষা কর্মকর্তা

বৃহস্পতিবার, জুলাই ২০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

সিএন প্রতিবেদন: মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু বুক কর্নার’ এর জন্য বিনামূল্যে ৬টি বই দেশের ৬৪ জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। তবে বই পৌঁছানোর পাঁচ মাস পর এ বাবদ প্রতি স্কুল থেকে ২৪০০ টাকা করে প্রদানের নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ উঠেছে হাটহাজারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম সিরাজীর বিরুদ্ধে। এই টাকা সংগ্রহের জন্য তিনি কয়েকজন প্রধান শিক্ষককে দায়িত্বও দেন।

শুধু এই খাত নয়, হাটহাজারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রতিমাসের সমন্বয় সভার মিটিং, বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিল পাস, শেখ রাসেল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট, বিভিন্ন জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের বিল পাসের জন্য ৫০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।

বি়ভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন, বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা অনেক খুশি। তারা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারছে। তাদের মধ্যে আরও জানার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। বিনামূল্যের এসব বইয়ের জন্য প্রতিটি স্কুল থেকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা টাকা নিচ্ছেন, বিষয়টি দুঃখজনক।

জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে পিইডিপি-৪ এর আওতায় ‘বঙ্গবন্ধু বুক কর্নার’ এর জন্য কেনা ৬টি বই দেশের ৬৪ জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ৬৫ হাজার ৬২০টি বিদ্যালয়ে পাঠানো বইগুলো হচ্ছে- ‘ছেলেদের বঙ্গবন্ধু’, ‘অমর শেখ রাসেল’, ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, ‘বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ এবং ‘শেখ হাসিনা: নির্বাচিত উক্তি’। ছয়টি বইয়ের মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭২০টি কপি সরবরাহ করা হয় বিদ্যালয়গুলোতে।

হাটহাজারীতে মোট ১৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। হাটহাজারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসব বইয়ের জন্য টাকা তোলার দায়িত্ব দেন কয়েকজন শিক্ষককে। একটি বিদ্যালয় থেকে ২৪০০ টাকা করে নিলে ১৫৯ বিদ্যালয় থেকে ৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা নেওয়ার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

টাকা উত্তোলনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা জানান, ‘উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমাদের দায়িত্ব দেন, আমরা টাকা উত্তোলন করে জমা দেই’৷

জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশরাফুল আলম সিরাজী বলেন, বইগুলোর টাকা উত্তোলনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সে চিঠির প্রেক্ষিতে টাকাগুলো নেওয়া হচ্ছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে এ ধরনের কোনও চিঠি আসেনি। বিষয়টি আমি দেখছি।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিদুল আলম বলেন, এ রকম তো হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবো।

সিএন/এমটি

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন