ট্রমা শব্দটির সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিত। নানা কারণে মানুষ মানসিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। মানসিক আঘাতে কিছুদিনের জন্য যেমন বাধাগ্রস্ত হতে পারে দৈনন্দিন জীবন, কারও কারও ক্ষেত্রে আবার মারাত্মক দীর্ঘমেয়াদি জটিলতাও দেখা যায়। এক্ষেত্রে করণীয় যা তা বিষয়ে পরামর্শ রইলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলামের।
ট্রমায় যা ঘটে
জীবনের যেকোনো পরিসরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় মানসিক চাপের সৃষ্টি হলে শরীরে অ্যাড্রেনালিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি সামলাতে তৎপর হয়ে ওঠে শরীর। বিপর্যয়ের প্রাথমিক সময়ে অস্থির লাগতে পারে, বুক ধড়ফড় করতে পারে, হতে পারে ঘাম, এমনকি উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও সৃষ্টি হতে পারে। নেতিবাচক পরিস্থিতির শিকার হওয়া ব্যক্তি উদ্বিগ্ন বোধ করেন। তার খাওয়ার রুচি কমে যেতে পারে, হতে পারে ঘুমের সমস্যা। মনমেজাজও বিগড়ে যেতে পারে। স্বাভাবিক কাজে মন তো বসেই না এবং একই সময়ে মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকে।

দীর্ঘ মেয়াদেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় মন
মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত ব্যক্তির এমন দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার। এই ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তি ভয় বা আতঙ্কের অনুভূতি কাটিয়ে উঠতে সমস্যায় পড়তে পারেন। আশাহীন, ভরসাহীন একটি জীবনযাপন করতে পারেন তিনি। নিজেকে অযোগ্য কিংবা অপরাধীও মনে করতে পারেন তিনি। বিপর্যস্ত মনের অন্য উপসর্গগুলোও থাকতে পারে তার মধ্যে। জীবনের স্বাভাবিক সম্পর্কগুলো বজায় রাখতে হিমশিম খেতে পারেন তিনি। এমনকি এগিয়ে যেতে পারেন আত্মহননের পথেও।
- ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন অফ ইউএসএ’র ইফতার অনুষ্ঠিত
- হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল উত্তরায় নিজ বাসায় খুন
- ফের অপু-বুবলীর ভার্চুয়াল যুদ্ধ!
- বাজারে ‘ট্রেন্ডসেটার’ হিসেবে এল ‘ডুয়েল সার্টিফাইড’ ও ‘অলরাউন্ড’ পারফরম্যান্সের ‘অপো এ৫ প্রো’
- বাংলাদেশের অবস্থা ছিল গাজার মত: গার্ডিয়ানকে ড. ইউনূস
সমাধান কী
আপনজনদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে হবে। ব্যক্তিজীবনের খারাপ লাগার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো উন্মুক্ত পরিসরে বলা ঠিক নয়। বরং পরিবার, বন্ধু, কিংবা একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়া অন্য কোনো মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন নিজের অনুভূতি।

নিজেকে ব্যস্ত রাখুন
নিজের রোজকার দায়িত্ব সম্পন্ন করতে চেষ্টা করুন। স্বাভাবিক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করাই ভালো। শরীরচর্চা করুন রোজ। মানসিক চাপ কমবে। এ ছাড়া শ্বাসের ব্যায়াম, যোগব্যায়াম কিংবা ধ্যান করতে পারেন।
প্রয়োজনে সাহায্য নিন
নিজের কিংবা কাছের মানুষদের প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। সুস্থ হতে সবারই যে ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হয়, তা কিন্তু নয়। অনেক মানুষই কাউন্সেলিং সহায়তা এবং সাইকোথেরাপি নেওয়ার মাধ্যমে সুস্থ জীবনে ফিরে আসেন।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন