মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে। আজ ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন তিনি। তার শাসনামলে বাংলাদেশের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে মতামত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কারণে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা যেতে পারে। সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলেছেন, প্রশাসন বদলালেও বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বড় পরিবর্তন হয় না। তবে রিপাবলিকান সরকারের আমলে মানবাধিকার ও সংখ্যালঘু ইস্যুতে জোর দেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম প্রধান রফতানি খাত। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতিতে পরিবর্তন এলে এই খাতে প্রভাব পড়তে পারে। কার্বন নির্গমন সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল হওয়ায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা বাড়তে পারে।
ট্রাম্প সংখ্যালঘু ইস্যুতে সোচ্চার থাকলেও তার অভিবাসন নীতি কঠোর হলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে। চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারে ট্রাম্প প্রশাসন সক্রিয় থাকবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব আরও বাড়বে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকাও জরুরি।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন