নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনে মুসলিম ভোটারদের সমর্থন পেয়েছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার নির্বাচিত মন্ত্রিসভার কিছু সদস্যের মনোনয়ন মুসলিম নেতাদের মধ্যে গভীর হতাশা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, ইসরায়েলপন্থী এবং যুদ্ধকামী ব্যক্তিদের পদায়নে তারা উদ্বিগ্ন।
মুসলিম নেতাদের অভিযোগ, তারা আশা করেছিলেন ট্রাম্প তার মন্ত্রিসভায় এমন ব্যক্তিদের বেছে নেবেন যারা শান্তির পক্ষে কাজ করবেন, কিন্তু তার মনোনীত কর্মকর্তারা মূলত ইসরায়েল এবং যুদ্ধের সমর্থক। এর মধ্যে অন্যতম নাম মার্কো রুবিও, যিনি গাজার যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে এবং ইসরায়েলকে হামাসের ‘প্রতিটি উপাদান’ ধ্বংস করার পক্ষে। রুবিওকে সেক্রেটারি অফ স্টেট হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
এছাড়া, ট্রাম্প মাইক হাকাবি, যিনি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের সমর্থক এবং ফিলিস্তিনের জন্য দুই রাষ্ট্র সমাধানকে অকার্যকর বলে মনে করেন, তাকে ইসরায়েলের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছেন। আরও এক মনোনীত ব্যক্তি এলিস স্টেফানিক, যিনি জাতিসংঘকে “অ্যান্টি-সেমিটিক” বলে অভিহিত করেছেন এবং গাজার পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
মুসলিম নেতারা বলেছেন, তারা ট্রাম্পের নির্বাচনে সমর্থন দিয়েছিলেন কারণ তারা বিশ্বাস করেছিলেন যে ট্রাম্প শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারবেন। তবে, তার মন্ত্রিসভায় এই ধরনের মনোনয়ন দেখে তাদের আশা ভঙ্গ হয়েছে।
আমেরিকান মুসলিম এনগেজমেন্ট অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক রেক্সিনাল্ডো নাজারকো বলেন, আমরা ট্রাম্পের কাছে শান্তির জন্য কিছু আশা করেছিলাম, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, তিনি যুদ্ধকামী শক্তির সাথে আঁতাত করেছেন।
মুসলিম সমর্থকরা এখন গাজার যুদ্ধের সমাপ্তি এবং শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাম্পের কাছ থেকে আরও স্পষ্ট পদক্ষেপ চাচ্ছেন। তারা মনে করছেন, ট্রাম্পের প্রশাসন যদি সত্যিই শান্তির জন্য কাজ করতে চায়, তবে তাদের উচিত আরও ভারসাম্যপূর্ণ এবং শান্তিপূর্ণ মনোভাব নিয়ে কাজ করা।
এদিকে, ট্রাম্পের মুসলিম সমর্থকরা কিছুটা আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত ফলাফলই আসল। মিশিগান রিপাবলিকান পার্টির মুসলিম ভাইস চেয়ারম্যান রোলা মাক্কি বলছেন, ফলাফলই সবকিছু। আমি জানি যে ট্রাম্প শান্তি চান, এবং ফিলিস্তিন ও লেবাননে যে অস্থিরতা চলছে, তার সমাপ্তি ঘটানোর চেষ্টা করবেন।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন