শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

দক্ষিনাঞ্চলের ৬৭ ভাগ ওমিক্রনে ও ৩৩ ভাগ ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২২

প্রিন্ট করুন

বরিশাল অফিস: শেষ পর্যন্ত দক্ষিনাঞ্চলে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই বিভাগে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের হার ৬৭ ভাগ এবং ডেল্টা ভেরিয়েন্ট আক্রান্তের হার ৩৩ ভাগ। সারা দেশ থেকে ১৪৮টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি)। প্রতিষ্ঠানটি তাদের গবেষনায় বরিশালে নয়টির ছয়টিতে ওমিক্রন ও তিনটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছে।

বরিশালে ওমিক্রন সনাক্তের কোন মেশিন বা ল্যাব না থাকায় এত দিন বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি কোন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছে বরিশালের মানুষ। বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত ১ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আইসিডিডিআর’বিতে ১৪৮টি করোনার নমুনা পরীক্ষায় ১১৮টিতেই ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে, যা মোট জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মধ্যে ৮০ শতাংশ। আর বাকি ৩০টি নমুনা পরীক্ষায় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, যা হার বিবেচনায় ২০ শতাংশ। এর মধ্যে ওমিক্রনের নতুন উপ-ধরন বিএ.১ শনাক্ত হয়েছে ৫৮ জনের, যা শতকরা হিসাবে ৩৯ শতাংশ ও বিএ.২ শনাক্ত হয়েছে ৬০ জনের দেহে, যা শতকরা হিসাবে ৪১ শতাংশ।

 প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগের ৭০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সে ৬৫টিতে ওমিক্রন এবং পাঁচটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১৮টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সে ১৪টিতে ওমিক্রন ও বাকি চারটিতে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের ২২টির ১৫টিতে ওমিক্রন ও ৭টিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। খুলনায় ১৪টির ১২টিতে ওমিক্রন ও দুইটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। বরিশালে নয়টির ছয়টিতে ওমিক্রন ও তিনটিতে ডেল্টা, সিলেটে ছয়টির তিনটিতে ওমিক্রন ও তিনটিতে ডেল্টা, এবং রংপুর বিভাগের সাতটির তিনটিতে ওমিক্রন এবং চারটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। একমাত্র ময়মনসিংহ বিভাগে গত এক মাসে কোনো ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়নি।

 বিভাগটিতে দুইটি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সে দুটিতেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।গবেষনার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনার সাতটি ধরনের মধ্যে পাঁচটিকে উদ্বেগজনক বলে মনে করে। আইইডিসিআরসহ মোট চারটি প্রতিষ্ঠান দেশে করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে। বাকি তিন প্রতিষ্ঠান হলো আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইদেশি) এবং চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ)।

এস এল টি তুহিন বরিশাল ব্যুরো

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন