শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্কে এজেডএম গ্রুপের ইফতার-দোয়া, ২ সাময়িকীর উদ্বোধন

বুধবার, এপ্রিল ৩, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইংরেজি সাময়িকী দ্য বে ওয়েভ ও বাংলা সাময়িকী জয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংখ্যার প্রকাশনা উদ্বোধন করা হয়েছে।

গত ২৮ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জ্যাকসন হাইটসের শেফস মহল রেস্তোরায় এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন বাংলা সংবাদপত্রের সম্পাদক, ঢাকার বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে দ্য বে ওয়েভ ও জয় বাংলাদেশ সম্পাদক গ্লোবাল পিস অ্যাম্বাসেডর ড. আবু জাফর মাহমুদ সম্পাদক সাংবাদিকদের নজিরবিহীন আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটির সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক, টেলিভিশনের সত্ত্বাধিকারী, সাংবাদিক আমরা সবাই একটি পরিবার। বহুদিন ধরে আমরা আমাদের অভিযাত্রা অব্যাহত রেখেছি। যারা অনেক আগেই এই যাত্রা শুরু করে অন্যান্যদের জন্য পথ তৈরি করেছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমরা এখন একই সংগ্রামে হাতে হাত ধরে এগোচ্ছি। এটিই আমাদের সমাজ শক্তি। আমাদের কমিউনিটিকে সেবা দিচ্ছি ও আমেরিকার সেবায় অংশ নিয়েছি।

ড. আবু জাফর মাহমুদ মহান স্বাধীনতা দিবস স্মরণে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবসকে এক করে দেখা যাবে না। দুই দিবসের বক্তব্য দুই রকম। প্রেরণা দুই রকম, ভুমিকাও দুই রকম। ২৫শে মার্চ আমাদের বাধ্য করেছিল ২৬ মার্চ জন্ম দিতে। আমরা জন্মগতভাবেই ছিলাম পাকিস্তানি। পাকিস্তান আমাদের দেশ ছিল। যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ করলো, সেই আক্রমণ ছিল যুদ্ধের আক্রমণ; ধ্বংসের আক্রমণ;গোটা জাতির ওপর লক্ষ্য ঠিক রেখেই আক্রমণটা করা হয়। যাতে বাঙালি জাতিকে নির্মূল করে ফেলা যায়। এর মোকাবিলায় আমাদের সশস্ত্র শক্তির পক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না। এটা কোনো রাজনীতি নয়, এটা কোনো সাহিত্য চর্চা নয়। এই যুদ্ধ ছিল বেঁচে থাকার যুদ্ধ; আমাদের প্রতিরোধ যুদ্ধ। এই প্রতিরোধ যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো।

তিনি বলেন, প্রতিরোধ যুদ্ধটি ছিল পুরোপুরিভাবে সামরিক যুদ্ধ। রাজনীতিবিদরা তখন সিদ্ধান্তহীন ছিলেন, আমরা গোটা জাতিই তখন সিদ্ধন্তহীন ও কিংকর্তব্যবিমুঢ় ছিলাম। সেদিনের ক্যাপ্টেন রফিক ইপিআর-এ তার কমারকে হত্যা করে এসে যুদ্ধে অংশ নিলেন। তিনি তার সিনিয়র হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানকে খুঁজে নিয়ে চট্টগ্রামে এ কে খান সাহেবের সঙ্গে বৈঠক করে বেঙ্গল রেজিমেন্টের তরফ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন। এর মধ্য দিয়েই আসলো আমাদের সশস্ত্র যুদ্ধের প্রেরণা।

তিনি বলেন, আমরা কৃতজ্ঞ আমাদের সেই বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর, পুলিশ, আনসারের এর প্রতি। সেদিন তারা আমাদের যুদ্ধের পথ রচনা করেছেন, জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে গেছেন, প্রতিরোধ যুদ্ধ সৃষ্টি করেছেন। তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

সম্পাদক ও সাংবাদিকবৃন্দ ড. আবু জাফর মাহমুদের সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার প্রশংসা করে বলেন, তিনি বহু আগেই অসাধারণ এক কলম সৈনিকের স্বাক্ষর রেখেছেন। নতুন দুটি পত্রিকার মাধ্যমে তিনি মানব সেবা ও জীবন সংগ্রামের এক নতুন ধারার সূচনা করলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—সাপ্তাহিক ঠিকানা’র সম্পাদক এম এম শাহীন, পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, টাইম টিভি’র সত্তাধিকারী আবু তাহের, লেখক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেইন মনজু, চ্যানেল আই’র ব্যুরো প্রধান রাশেদ আহমেদ, এমসি টিভির সত্ত্বাধিকারী কাজী শামসুল হক, দেশ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, হককথা সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন, এনওয়াই কাগজের প্রদায়ক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মজুমদার, চ্যানেল টিটির সত্তাধিকারী শিবলী চৌধুরি কায়েস, সাংবাদিক অভিক সানোয়ার রহমান মোহাম্মদ হোসেন দিপু, কানু দত্ত প্রমুখ। এতে দোয়া ও মোনাজাত করেন জ্যাকসন হাইটস ইসলামিক সেন্টারের খতিব মাওলানা আব্দুস সাদিক।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন