শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

পরিত্যক্ত রঙের ড্রামকে দৃষ্টিনন্দন ডাস্টবিনে রুপ দিল চবির উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ

মঙ্গলবার, অক্টোবর ১০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম: প্রতিদিনই আমাদের পরিবেশে যুক্ত হচ্ছে অসংখ্য অপচনশীল প্লাস্টিক -পলিথিন। পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ উপাদানটি রোধ করতে কিংবা রিসাইকেলে নেই কোনো বিশেষ ব্যবস্থা। রাস্তা থেকে শুরু করে পার্ক সর্বত্রই দেখা পাওয়া পরিবেশ বিধ্বংসী এই উপাদান। এরজন্য দায়ী শিক্ষিত থেকে মজদুর সকলেই। আর তাই মানুষকে সচেতন করতেই পরিত্যক্ত রঙের ড্রাম থেকে বাহারি রঙ ও ডিজাইনের বানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ’।

সংগঠনের সদস্যরা প্রথমে বিভিন্ন জায়গা থেকে পরিত্যক্ত রঙের ড্রাম সংগ্রহ করেন। পরে স্বেচ্ছাসেবীদের রঙের ছোঁয়ায় বদলে যায় এসব ড্রাম। রুপ নেয় বাহারি রঙের ডাষ্টবিনে। মূল উদ্দেশ্য নান্দনিকতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও যথাযথ স্থানে ময়লা ফেলতে উৎসাহিত করা।

সোমবার (৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিকভাবে ২৫টি ডাস্টবিন স্থাপন করেন সংগঠনটির সদস্যরা। তুলির ছোঁয়ায় রঙ বেরঙের নান্দনিকতায় মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সচেতনতা তৈরি করতেই এমন ভিন্নধর্মী আয়োজন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ। পরিবেশবান্ধব এমন ভিন্নধর্মী উদ্যোগের বিষয়ে উদ্দীপ্ত বাংলাদেশের সভাপতি হাসিবুল খান বলেন, রঙের ড্রামগুলো অব্যবহৃত থেকে যায়। এগুলো ডাস্টবিনের সাইজ হিসেবেও জুতসই। তাই আমরা এটিকে বেছে নিয়েছি। অব্যবহৃত রঙের ড্রাম (বালতি) সংগ্রহ করেছি নগরীর ২ নম্বর গেট থেকে। এরপর সেগুলোকে পরিষ্কার করে, সেখানে নানা রঙের ছবি নকশা আঁকেন আমাদের সংগঠনের সদস্যরা।”

শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণের ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, “শুধু ডাস্টবিন স্থাপন করলে অনেক সময় সবার নজরে আসে না, সবাই সেখানে ময়লা ফেলে না। একটু সুন্দর করে, রঙিন ও নকশা করে করলে সবাই আকৃষ্ট হবে, নজরে আসবে। সেই চিন্তা থেকেই কাজটি করা।”

এর আগেও সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যারয় স্টেশনের বিভিন্ন জায়গায় বাঁশের তৈরি পরিবেশবান্ধব ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করে সংগঠনটি।

সিএন/এমটি

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন