বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে মাঠে ফিরলেন তামিম

শুক্রবার, জুলাই ৭, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য সুখবর। অনেকটা অভিমানের বশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো তামিম ইকবাল আবার মাঠে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে।

শুক্রবার (৭ জুলাই) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মন গলেছে তামিমের। লাল সবুজ জার্সিতে আবারো মাঠে ফিরতে প্রস্তুত টাইগার ওপেনার।

হঠাৎ করেই নিজ উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন ডেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। এরপর থেকেই ক্রিকেটপাড়ার মূল আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠেন তিনি। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে যান তামিম। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফিরেন তামিম।

এর আগে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে, বিশেষ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন তার এমন সিদ্ধান্তকে অপ্রত্যাশিত বলে উল্লেখ করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ভক্তরা তো অবশ্যই, সতীর্থরা তার এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছিল। কারণ তিনি ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত লাল সবুজ জার্সিতে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তার এমন অবসরের ঘোষণায় হতবাক হয়েছিল সবাই।

তামিম অবশ্য তার অবসরের কোনো নির্দিষ্ট কারণ জানাননি তখন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন টাইগার ওপেনারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তার ধারণা ছিল, তামিম আবেগের বশে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা দেশসেরা ওপেনারকে আহ্বান জানান, সিদ্ধান্ত বদলের।

বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের সদ্য সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে কথা বলতে তাকে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে আছেন টাইগার সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও।

শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছেন তামিম ইকবাল। এরপর মাশরাফীর সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। দুপুর আড়াইটায় গণভবনে প্রবেশ করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার।

এদিকে তামিমের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন, অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে তামিমকে গণভবনে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। তবে দেশসেরা ওপেনারের এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তের কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।

এদিকে তামিমের বিদায়ের পর গোটা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া চলছে। অন্তত বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাকে মাঠে দেখতে চায় পুরো দেশ। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তামিমকে নিয়ে ক্রিকেটীয় স্মৃতি এবং আবেগমাখা পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন ভক্তরা।

এর মাঝে বৃহস্পতিবার গুঞ্জন ওঠে তামিমকে ডিনারে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও পরবর্তীতে বিষয়টি গুজব বলে তামিমের ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছিল। তবে পরদিনই মাশরাফীকে নিয়ে গণভবনে গেলেন তামিম।

জানা গেছে, আগামী ১৮ জুলাই পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে দুবাই যাবেন তামিম। তাই দেশ ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করছেন ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

তামিম ইকবালের অবসরকে কেন্দ্র করে গত ২৪ ঘণ্টায় ঝড় বয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চাচ্ছে অবসর ভেঙে ফিরে আসুক তামিম। এবার তামিমকে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরেন দেশসেরা ওপেনার। দুপুরে তাঁকে গণভবনে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। জানা যায়, সঙ্গে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। এ ছাড়া তামিমের স্ত্রী আয়শাও সঙ্গে আছেন। একই সঙ্গে বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপনকেও ডাকা হয়েছে সেখানে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের মধ্যে বৈঠক শেষে বিসিবি প্রধান জানিয়েছেন, তারা তামিমের ফেরার অপেক্ষায় আছেন। অন্তত এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে তামিমকে অধিনায়ক হিসেবে চায় বিসিবি।

নাজমুল হাসান বলেছেন, আমাদের জন্য একেবারেই অপ্রত্যাশিত। খুব অবাক হয়েছি, অপ্রত্যাশিত ছিল। ম্যাচের তিনদিন আগেই তামিমের সঙ্গে কথা হয়েছে। গতকাল ম্যাচ শুরুর আগেও কথা হয়েছে। আমার পক্ষে বোঝার কোনো উপায় ছিল না যে এমন সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে।

এরপর পাপন বলেন, আমরা চাই তামিম সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফিরে আসুক। সে আমাদের কাছে কোনো রিজাইন লেটার পাঠায়নি। আমরা চাই সে ফিরে আসুক। আপাতত নতুন কিছু নিয়ে ভাবছি না। ওয়ানডেতে সহ-অধিনায়ক আছে। অধিনায়ক না থাকলে সহ-অধিনায়ক যিনি তিনি দেখবেন। তবে আমরা এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য তামিমকে চাই।

বিসিবিপ্রধান আরও যোগ করেন, সামনে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ। এবারেই আমরা প্রথম সবাই একসঙ্গে বিশ্বাস করতে শুরু করেছি, বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে। এই পরিস্থিতিতে তামিমের সিদ্ধান্ত পুরো দলে বাজে প্রভাব ফেলা শুরু করেছে ইতোমধ্যে। আমার ধারণা এটা একটা ইমোশনাল সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও সে বলেছে, এটা একদিনের সিদ্ধান্ত নয়। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিছু একটা ফ্যাক্টর তো আছে। তামিম এখনও দলে গুরুত্বপূর্ণ এবং ওকে আমাদের দরকার। আমাদের কাছে এখনও ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন