শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

বিএনপির মহাসমাবেশে ১০ দফা দাবি, ২৪ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন

শনিবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২২

প্রিন্ট করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: নানান টালবাহানার পর অবশেষে সম্পূর্ণ হয়েছে বিএনপির ঢাকা বিভাগের সমাবেশ। সমাবেশে ছিলো নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। এদিন সরকারের পদত্যাগসহ সমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবি জানানো হয়। আগামী ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে গণমিছিল ও দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু হবে।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিভাগীয় সমাবেশে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা ঘোষণা করেছে বিএনপি। যার ভিত্তিতেই আগামী দিনে যুগপৎ আন্দোলন হবে। গত বৃহস্পতিবার রাতে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই দফা চূড়ান্ত করা হয়। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দশ দফা ও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর হাইকমান্ডের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গণসমাবেশে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

বিএনপির ১০ দফা:

সকাল ১১ টায় সমাবেশ শুরু হয়ে দুপুরের পর প্রধান অতিথির বক্তব্যে “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার”  ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন ড. খন্দকার মোশরারফ হোসেন। দফাগুলো হলো:

১. জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে সরকাররের পদত্যাগ।

২. দল নিরপেক্ষ একটি অন্তবর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।

৩. বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন।

৪. খালেদা জিয়াসহ সকল বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল,  মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক কারাবন্দিদের মুক্তি।

সভা-সমাবেশ ও মত প্রকাশে কোনো বাধা সৃষ্টি না করা।

৫. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন,সন্ত্রাস দমন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল।

৬. বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, সার ও পানিসহ জনসেবা খাতসমূহে মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল।

৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা।

৮. গত ১৫ বছর বিদেশে অর্থ-পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন।

৯. গত ১৫ বছরে গুমের শিকার সকল নাগরিকদের উদ্ধার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার আইনানুগ বিচারের ব্যবস্থা ও শাস্তি নিশ্চিত করা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, উপসানালয় ভাঙচুর ও সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা।

১০. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের উপযোগী করতে সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়া।

বিএনপি এইসব দাবি আদায়ে ২৪ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করবে। ওই দিন তারা সারাদেশে গণমিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে। পরে আরো কর্মসূচি দেয়া হবে বলে সমাবেশে জানিয়েছেন ড. খন্দকার মোশাররফ। তবে এর আগে তারা ১৩ ডিসেম্বর নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবীতে ঢাকা মহানগরীতে গণবিক্ষোভ করবে।

আইআই/সিএন

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন