একাধিক ভিটামিন, খনিজ উপাদান এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী গুণের কারণে বিটরুটকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। জুস, সালাদ বা সেদ্ধ বিটরুট খেতে না চাইলে চেষ্টা করতে পারেন মজাদার পদটি।
উপকরণ: ছানা ৫০০ গ্রাম, দুধ ৫০০ গ্রাম, (২ লিটার দুধকে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে ৩ কাপ), কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ + ৩ টেবিল চামচ, চিনি ১ কাপ, জাফরান দেড় চা-চামচ, ডিম ৬টি, মাওয়া আধা কাপ, গুঁড়ো দুধ আধা কাপ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, তবক (ঐচ্ছিক), সাজানোর জন্য ঘি/মাখন আধা কাপ।
প্রণালি: বিটরুট ধুয়ে ছিলে ঝুরি করে নিন। দুধ ঘন করে ২ কাপ দুধ আলাদা উঠিয়ে রাখুন। বাকি ১ কাপ দুধের সঙ্গে ঝুরি করা বিটরুট সিদ্ধ করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। ছানা হাত দিয়ে ভালো করে ছেনে নিন।
১ কাপ ঘন দুধে ৬টি ডিম ফেটে নিন। বাকি ১ কাপ দুধে ৩ টেবিল চামচ কনডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে আলাদা রাখুন। এই মিশ্রণে আধা চা-চামচ জাফরান মিশিয়ে রাখুন।
প্যানে ঘি বা মাখন গলিয়ে ১ চা-চামচ জাফরানের ফোড়ন দিয়ে তাতে ব্লেন্ড করা বিটরুট দিয়ে বেশ খানিকক্ষণ ভেজে নিয়ে চিনি ও ছানা দিয়ে মিশিয়ে ঘন ঘন নাড়ুন।
এবার গুঁড়ো দুধ দিয়ে অনবরত নাড়ুন। এদিকে একটি ট্রে বা পাত্রে ঘি মেখে রাখুন। বিটরুট ও ছানার মিশ্রণ আঠালো হয়ে এলে ঘি ব্রাশ করা ট্রেতে ঢেলে চারপাশ ও উপরিভাগ খুন্তি দিয়ে চেপে চেপে সমান করুন। খুন্তিতে একটু ঘি মেখে নেবেন।
এবার অন্য একটি প্যানে বাকি ১ কাপ দুধ ও কনডেন্সড মিল্কের মিশ্রণ ঢেলে কিছুক্ষণ জ্বাল দিন। তারপর ময়দা দিয়ে অনবরত নাড়ুন যেন ময়দা দলা না পাকায়।
ঘন হয়ে এলে মাওয়া দিয়ে দ্রুত নেড়ে নামিয়ে ট্রেতে রাখা বিটরুটের মিশ্রণের ওপর ঢেলে চারপাশ ও উপরিভাগ সমান করে ঠান্ডা হলে চারকোনা করে কেটে ইচ্ছে হলে তবক দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন