শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে সেন্টার ফর এনআরবির আলোচনা

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

সিএন প্রতিবেদন: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে সেন্টার ফর এনআরবি। আলোচনা সভা থেকে সকলের জন্য বাসযোগ্য ও নিরাপদ পৃথিবী গঠনের আহ্বান জানানো হয়।

সোমবার (৮ এপ্রিল) এনআরবি সেন্টারের ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ-২০২৪ এর অংশ হিসেবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সম্মানে আন্ত—ধর্মীয় ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনআরবি চেয়ারপার্সন এম এস সেকিল চৌধুরী। অতিথিদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি খিজির আহমদ, নিউইয়র্ক কুইন্স কোর্টের প্রেসিডেন্ট সোমা সাইদ, জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত ও জি-১০০ গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি সীমা কারাতনায়া, রাষ্ট্রদূত ড. আন্দ্রেই বাস ও নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা।

অনুষ্ঠানে নিধার্রিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক ইসলামী স্কলার ইন্দোনেশিয়ার ড. শামসী আলী, খ্রিষ্টানিটি স্কলার ড. ফ্রাঙ্ক কাউফম্যান, জাতিসংঘের সাবেক সুপারিনডেন্ট মোহামেদ সুলায়মান ইয়ার, নিউইয়র্ক মেয়রের নিরাপত্তা প্রধান হুমায়ুন কবির, টিবিএন ২৪ চ্যানেলের আফম জামান, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের নির্বাহী সদস্য জুলকার হায়দার, বাংলাদেশী আমেরিকান পেশাজীবী ব্যাংকার ওয়াসেফ চৌধুরী, সফ্‌টওয়ার ইন্জিনিয়ার মোজাফ্ফর আহমদ, এটর্নী জিনাত জাহান ও এওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রবাসী সানওয়ার চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী এবং অথর্নৈতিক বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।

অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি খিজির আহমদ বলেন, যথেষ্ট হয়েছে আর না, এবার বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করতে রাজনীতিবিদদের কাজ করতে হবে। হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে।

কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা বলেন, রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, করণীয় ঠিক করে দিতে হবে। তবেই না আমরা কুটনীতিকরা দায়িত্ব পালন করতে পারবো।জাতিসংঘ তার সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়। সুতরাং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ইসলামী চিন্তাবিদ ড. শামসী আলী বলেন, একজন মানুষের মৃত্যু মানে মানবতার মৃত্যু। সুতরাং মৃত্যু রোধ করতে না পারলে মানবতা বিপন্ন হবে।

খ্রিষ্টানিটি চিন্তাবিদ ড. ফ্রাঙ্ক কাউফম্যান বলেন, কোন মৃত্যু গ্রহন যোগ্য হতে পারেনা।

সভাপতির বক্তব্যে এনআরবি চেয়ারপার্সন এম এস সেকিল চৌধুরী বলেন, দেশে দেশে সংঘাত, সংখ্যালুঘুদের নির্মূল প্রয়াস, ধর্মীয় বিরোধ, জাতিগত দাঙ্গা ও ক্ষমতাবানদের অত্যাচার বন্ধে জাতিসংঘের বলিষ্ট ভূমিকা নিতে হবে। রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে দূবর্লদের অত্যাচার নিরসনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতা ও পরামর্শ পালনে শক্তিমানদের বাধ্য করতে সকলকে একযোগে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে করতে হবে। সকলের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে ধর্মীয় ও বিভিন্ন জাতিগোষ্টী এবং সম্প্রদায়গুলোকে পরষ্পরের প্রতি সহনশীল ও ন্যায্য আচরণের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের টেকসই ও ন্যায়সংগত পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ তার করণীয় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সবলের অত্যাচারে বিশ্বময় সুশীল রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়বে। বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের কাযর্ক্রম ও কর্মীদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে ঐকমত্যে আসতে হবে যাতে উপদ্রুত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কাজ নির্বিগ্নে পালন করা যায়।

অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তীর অনুভূতি প্রকাশ করে সানওয়ার চৌধুরী বলেন, দেশে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি উন্নয়নে আমার সামান্য অবদান রাখতে পেরে আমি খুশী। এই অ্যাওয়ার্ড আমাকে আরো ভূমিকা রাখতে অনুপ্রাণিত করবে ।

আলোচনা, ইফতার অনুষ্ঠানে প্রবাসী আমেরিকান, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, পেশাজীবী, সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকগন অংশগ্রহন করেন।

সিএন/এমটি

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন