মুফতি জাকারিয়া হারুন: ঝড় এলে মানুষের মন প্রফুল্ল হয়ে যায়। এটি আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের নিদর্শন। এর মাধ্যমে আল্লাহ কল্যাণ ও রিজিকের ব্যবস্থা করেন। আর প্রকৃতিতে প্রকাশ পায় স্বস্তির ছাপ। বৃষ্টির সাথে মানুষসহ অন্য প্রাণীদের রিজিকের সম্পর্ক রয়েছে।
কোরআনে আল্লাহ বৃষ্টি নিয়ে বলেন, ‘আর আমি আসমান থেকে বরকতময় পানি বর্ষণ করেছি। অতঃপর তা দ্বারা আমি উৎপন্ন করি বাগ-বাগিচা ও কর্তনযোগ্য শস্যদানা।’ (সুরা কাফ, আয়াত: ৯)
নিচে বৃষ্টিমুখর দিনের তিন আমল তুলে ধরা হল-
বৃষ্টির পানি স্পর্শ করা: সাহাবি হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘আমরা নবীজির (সা.) সাথে ছিলাম, এমন সময় বৃষ্টি নামল। তখন নবীজি তার কাপড় খুলে দিলেন। ফলে, এতে বৃষ্টির পানি পৌঁছাল। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসুল! এরূপ কেন করলেন? তিনি বলেন, কেননা এটা আল্লাহর কাছে থেকে আসার সময় খুবই অল্প।’ (মুসলিম: ১৯৬৮)
বৃষ্টির সময় দোয়া করা: এ সময় দোয়া কবুল হয়। নবীজি (সা.) বলেন, ‘বৃষ্টির সময়ের দোয়া কবুল হয়ে থাকে।’ (আবু দাউদ: ২৫৪০)
উপকারী বৃষ্টির জন্য দোয়া: হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, যখন বৃষ্টি হত নবীজি (সা.) তখন বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সয়্যিবান নাফিআহ’, (অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি এ বৃষ্টিকে প্রবহমান ও উপকারী করে দাও)। (নাসায়ি: ১৫২৩)
অতিবৃষ্টি থেকে বাঁচতে দোয়া পড়া। নবীজি (সা.) এক বার অতিবৃষ্টিতে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা।’ অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি বৃষ্টি আমাদের আশপাশে বর্ষণ কর, আমাদের ওপরে নয়।’ (নাসায়ি: ১৫২৭)
প্রসঙ্গত, এখানে এটি উদ্দেশ্য নয় যে, আমাদের পাশের এলাকা ডুবিয়ে দাও, বরং উদ্দেশ্য হল জনবসতিহীন কোথাও বৃষ্টি সরিয়ে নাও।
সিএন/আলী
Views: 0
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন