শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

মার্কিন ইতিহাসে সাংস্কৃতিক আইকনে পরিণত হল স্বয়ংচালিত মেফ্লাওয়ার

মঙ্গলবার, জুলাই ৫, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চলমান নিউইয়র্ক ডেস্ক: ইংল্যান্ড থেকে যাত্রার দুই মাসের মাথায় আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় পৌঁছেছে মেফ্লাওয়ার অটোনমাস শিপ (এমএএস)। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) স্বয়ংচালিত জাহাজটি ম্যাসাচুসেটসের প্লিমাথে পৌঁছায়। বর্তমানে মার্কিন ইতিহাসে সাংস্কৃতিক আইকনে পরিণত হওয়া জাহাজ মেফ্লাওয়ারের রেপ্লিকা মেফ্লাওয়ার টু-এর পাশে নোঙ্গর করে রয়েছে।

এমএএসের এই আটলান্টিক পাড়ি দেয়া একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। কারণ এটি এখন পর্যন্ত আটলান্টিক পাড়ি দেয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্বয়ংচালিত জাহাজ। অবশ্য মার্কিন উপকূলীয় এলাকায় স্বয়ংচালিত নৌযান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কোস্ট গার্ডের বিধিবিধান মেনে যাত্রার শেষ ২৫ মাইল জাহাজটিকে টাগবোটের সাহায্যে টেনে নিয়ে যায়া হয়েছে।

২০১৬ সালে অলাভজনক সমুদ্র গবেষণা সংস্থা প্রোমেয়ার এ প্রকল্প চালু করে। তাদের মূল লক্ষ্য হল সমুদ্র গবেষণার তথ্য সংগ্রহে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার। এমএএসে ছয়টি এআই ক্যামেরা, ৩০টির বেশি সেন্সর ও ১৫টি এজ ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে। এ ডিভাইসগুলোর উন্নয়নে সহায়তা করেছে আইবিএমসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

গত এপ্রিলে ইংল্যান্ড থেকে যাত্রা করে মেফ্লাওয়ার। এটি ছিল নৌযানটির দ্বিতীয় দফার প্রচেষ্টা। এর আগে ২০২১ সালে প্রথম দফার যাত্রা কারিগরি কিছু ত্রুটির কারণে বাতিল করতে হয়েছিল। প্লিমাথ পৌঁছতে এমএএসকে তিন হাজার ৯০০ নটিক্যাল মাইল পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। জাহাজটি ওয়াশিংটন ডিসি পর্যন্ত যাওয়ার কথা থাকলেও সম্ভবত সেই পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হয়েছে অথবা বাতিল করা হয়েছে। ম্যাসাচুসেটসের প্লিমাথে ঐতিহাসিক মেফ্লাওয়ার জাহাজের রেপ্লিকার পাশেই নোঙ্গর করে আছে এমএএস

এমএএসের এই অর্জনকে স্বয়ংচালিত প্রযুক্তির উন্নয়নে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক আরেকটি ঘটনা সমুদ্রশিল্পে এ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রেরণাদায়ক হবে। ঠিক এক মাস আগে হুন্দাই হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের তৈরি একটি এলএনজি ক্যারিয়ার স্বয়ংক্রিয় নেভিগেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়েছে। সেটি ছিল বড় আকারের কোন বাণিজ্যিক জাহাজের স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথম মহাসাগর পাড়ি দেওয়া।

৯৭ হাজার ৫০০ ডিডব্লিউটি ধারণক্ষমতার এলএনজি ক্যারিয়ার প্রিজম কারেজ তার যাত্রার অর্ধেকের বেশি পথ স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতিক্রম করেছে। ২ মে টেক্সাসের ফ্রিপোর্ট এলএনজি টার্মিনাল থেকে যাত্রা করে প্রিজম কারেজ। এক মাসের যাত্রা শেষে ২ জুন সেটি দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছায়।

এ যাত্রার মোট দূরত্ব ছিল ১১ হাজার নটিক্যাল মাইল। শতাধিক জাহাজের সাথে সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়িয়ে প্রায় পাঁছ হাজার ৪০০ নটিক্যাল মাইল পথ সফলভাবে পাড়ি দেয় প্রিজম কারেজ।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন