রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

শিরোনাম

মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পথচারী নিহত, আহত ৩০

বুধবার, মার্চ ২৬, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

সিএন প্রতিবেদন: চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা ও দুই পৌরসভার কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মো. জাবেদ (৪৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

বুধবার (২৬ মার্চ) বারইয়ারহাট পৌর বাজারে এ সংঘর্ষ ঘটে।

নিহত জাবেদ চট্টগ্রামের বায়োজিদ থানার বাংলাবাজারের নীলগিরি আবাসিক এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে। তিনি একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি বলে জানা গেছে।

আহতদের মধ্যে সুমন, গোলাম মোর্শেদ, ইলিয়াস হোসেন ও রাশেদ নামের চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের সবাই ধারালো ছুরি ধারা জখমপ্রাপ্ত বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা, মিরসরাই পৌরসভা শাখা ও বারইয়ারহাট পৌরসভা শাখার আহবায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত দুই দিন ধরে বিএনপির দুই পক্ষে উত্তেজনা চলছিল। এই কারণে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে কর্মসূচি পাল্টাপাল্টি ঘোষণা দেয় বিএনপির দুই গ্রুপ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর ও তার আশপাশের ৫০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেই কর্মসূচি বাস্তবায়নে মাঠে নামে বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে বারইয়ারহাট পৌর বাজারে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের পর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন লিটনের বাড়ির সামনে আমাদের নেতাকর্মীদের পথ অবরুদ্ধ করে হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়। দুপুর ১২টায় আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল সহকারে বারইয়ারহাট পৌর বাজারে প্রবেশ করলে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজন অস্ত্রসহ হামলা চালান। হামলায় জাবেদ নামের একজন পথচারী নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।

তবে পাল্টা অভিযোগ করে বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী বলেন, বিএনপি নেতা মোজাম্মেল হোসেনসহ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী ও মাঈন উদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। পরে শান্তিরহাট রোডের মুখে তাদের সঙ্গে আমাদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় জাবেদ নামের একজন পথচারী নিহত হন। সংঘর্ষে যুবদল ও ছাত্রদলের সুমন, বাবুল, মিজান, নুর উদ্দিন, আরিফসহ ৮-১০ জন আহত হয়েছেন।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন