সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি

রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আগমনের প্রতিবাদে জেএফকে এয়ারপোর্ট ও জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন।

গেল ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন পার্টি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটায় জেএফকে বিমানবন্দরে ও শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জাতিসংঘের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা জানান হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ। উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান মিয়া, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বাবু, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা সোলায়মান আলী, আব্দুল হামিদ, আশরাফ উদ্দিন, সাহানারা রহমান, একেএম তারিকুল হায়দার চৌধুরী, শাহনাজ মমতাজ, এইচএম ইকবাল, সৈয়দ কিবরিয়া জামান, বাহার খন্দকার সবুজ, পান্না, খান শওকত, যুবলীগ নেতা সেবুল মিয়া। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারাও ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ও ৩০ লাখ শহিদের রক্তে রঞ্জিত অর্জিত স্বাধীনতা অস্বীকার করে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে হাতিয়ার হিসেবে অসাংবিধানিকভাবে জোরপূর্বক অন্তর্বর্তী দখলদার সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস দেশে নৈরাজ্য ও পৈশাচিক হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। গেল ১২ সেপ্টেম্বরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করে দুইজনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ইউনূস এ পর্যন্ত পাঁচ হাজারের অধিক পুলিশ/ছাত্র/সংখ্যালঘু/সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী হত্যা ও আনুমানিক দশ হাজার নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতা করেছে বা মামলা দিয়েছে।’

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ‘দেশের জনগণ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। অনির্বাচিত অবৈধ দখলদার সরকারের দমন নীতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে দেশে আইন বিচার বলে কিছুই নেই। পশ্চিমা দেশগুলোর মত মুহাম্মদ ইউনূস জনগণ বিচ্ছিন্ন সর্বোচ্চ ব্যাংক সুদের সফল ব্যবসায়ীদের একজন। দেশ পরিচালনায় কোন ধরনের দক্ষতা তার নেই। নিজেই বলেছেন ছাত্ররা তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। তাই, স্বাভাবিকভাবে জনগণের কাছে তার কোন দায়বদ্ধতা নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘দেশের প্রচলিত নিয়ম আইন ভঙ্গ করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষকদের ছাত্রদের দ্বারা পদত্যাগে বাধ্য করার ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের অবস্থা আরো করুণ।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ‘মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে জনগণের ম্যান্ডেট না নিয়ে অবৈধভাবে ছাত্রদের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করার যে কোন মানদন্ডে আইনগত বৈধতা নেই। দেশে হাজার হাজার শহিদের রক্তের উপর পা দিয়ে অবৈধ প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করা সমীচীন হবে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা প্রকাশ করেছি। যদি অবৈধ প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আসেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটায় জেএফকে বিমানবন্দরে ও শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জাতিসংঘের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘অন্তবর্তী সরকারের অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক, গণহত্যা ও দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টির বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’

সিএন/আলী

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন