সিএন প্রতিবেদন: দেশের বাইরে সবচেয়ে বড় পরিসরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ইউএসএ ইনক। অন্যান্যবারের চেয়ে এবার আরও বড় পরিসরে ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করবে সংগঠনটি।
বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কের এল্মহার্স্টে সোসাইটির নিজস্ব কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রব মিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আবু জাফর মাহমুদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রুহুল আমীন সিদ্দিকী, ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক চৌধুরী, ট্রেজারার মোহাম্মদ নওয়াশেদ হোসেন, জনসংযোগ ও প্রকাশনা সম্পাক রিজু মোহামেদ, ক্রীড়া ও বিনোদন সম্পাদক মাইনুদ্দিন মাহবুব, নির্বাহী সম্পাদক আখতার বাবুল, সাদী মিন্টু প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আবু জাফর মাহমুদ বলেন, আমরা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ জন্ম দিয়েছি। প্রবাসে বাংলাদেশের ঐতিহ্য সংস্কৃতি সুরক্ষার নেতা হচ্ছে আমেরিকার বাংলাদেশ সোসাইটি। এই সোসাইটি যতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, ততদূর পর্যন্ত আমি গভীরভাবেই এর সঙ্গে যুক্ত। এই সোসাইটি পরিচালনার কাজটি গোটা জাতির কাজ, গোটা সমাজের কাজ। বিশেষ করে সামাজিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, যেখানে আমাদের লক্ষ্যে একতা আছে। এখানে কর্মের একতা নিয়ে ভাবতে হবে না। লক্ষ্যটা আগে স্থির করা দরকার। সকল স্রোতে গা ভাসিয়ে দেওয়া কোনো জ্ঞানী মানুষের কাজ নয়। আমরা যেন সফল হই। সফলতাটি হচ্ছে আমরা যা করছি তার যেন কার্যকারিতা থাকে। আর সেই কার্যকারিতাও অন্য কিছু নয়, শুধু আমাদের দেশ ও জাতির কল্যাণ। নিউইয়র্ক সিটিতে পৃথিবীর সব জাতিধর্মের মানুষ রয়েছে। এর মধ্যে আমাদের জাতি যেন সম্মান ও মর্যাদায় মাথা উঁচু করে থাকতে পারে সেটিই আমাদের দেখার বিষয়।
তিনি বলেন, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে, বাংলাদেশ সোসাইটি। এই সোসাইটি তখনই সফল হবে, যখন এটি পকেটের প্রভাবে বড় না হয়ে জ্ঞানের প্রভাবে বড় হয়। তিনি বাংলাদেশ সোসাইটির অতীতের বিভিন্ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, সেগুলো এখন নেই বলেই সংগঠনটি গতিশীলভাবে চলছে। তিনি বলেন, ব্যক্তি সম্মান বা সংগঠন পরিচালনার সাফল্যই শেষ কথা নয়। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূতিকে বড় করে তোলাই আমাদের বড় দায়িত্ব।
এবার একুশে উদযাপনী আয়োজন থাকছে উডসাইটের টিবেটান কমিউনিটি সেন্টারে। অনুষ্ঠান শুরু হবে ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৫টায়। চলবে একুশের প্রথম প্রহর পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে থাকবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, মুক্তিসংগ্রাম ও দেশপ্রেমের বার্তাবহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। প্রতিবারের মতোই থাকবে সাংগঠনিক নানা আনুষ্ঠানিকতা ও একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন করে বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।
এবারের আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকছেন গ্লোবাল পিস অ্যামব্যাসেডর বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাউন্টেন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ড. আবু জাফর মাহমুদ।
সিএন/এমটি
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন