শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ‘আলোকচিত্র অ্যালবাম’ এর মোড়ক উম্মোচন

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১

প্রিন্ট করুন
শেখ হাসিনার জন্মিদন উপলক্ষে আলোকচিত্র অ্যালবাম এর মোড়ক উম্মোচন 1

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংগ্রামী উপাখ্যানের নাম, এক জীবন্ত কিংবদন্তীর নাম। তার নেতৃত্বেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং অর্থনৈতিক মুক্তি ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে আমরা বহুদূর এগিয়ে গেছি। তার নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে মর্যাদাপূর্ণ একটি রাষ্ট্র।’

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে পিআইডি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্য অধিদফতর সংকলিত ‘আলোকচিত্র অ্যালবাম’ এর মোড়ক উম্মোচনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘২৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন। আমি কিছুদিন তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি দেখেছি, তিনি নিজের ঘরে জন্মদিন পালন করেন না। কেক কাটেন না। কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে তাতে যেতে চান না। তাই তাকে না জানিয়েই আমরা দলের পক্ষ থেকে তার জন্মদিন পালন করি।’

এবারের জন্মদিনটি তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের দিনে প্রার্থনা করি, যেন আমরা তার শততম জন্মদিন পালন করতে পারি এবং ওই দিন পর্যন্ত যেন আমি বেঁচে থাকি।’

শেখ হাসিনার জীবন ছোটবেলা থেকে সংগ্রামী উল্লেখ করেন তথ্য মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তার ছোটবেলায় বঙ্গবন্ধু বেশিরভাগ ছিলেন জেলে। যে কারণে সব সময় তিনি বাবাকে কাছে পান নি। তার বিয়ের সময় বঙ্গবন্ধু ছিলেন জেলে। সন্তান হওয়ার সময় ফাঁসির মঞ্চে। রাজনীতির কারণে বাবাকে তিনি ও তার অন্য ভাই বোনেরাও সেভাবে কাছে পাননি।’

শেখ হাসিনাকে গনতন্ত্রের মানসকন্যা অভিহিত করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে এখন কুঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যায়না, ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না, মানুষ খালি পায়ে থাকে না। তার নেতৃত্বে দেশে ৪০ শতাংশ থেকে দারিদ্র‍্য ২০ শতাংশে নেমেছে। দেশ বদলে গেছে, আকাশ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম চেনা যায় না। এটা কোন জাদুর কারণে নয়, এটা শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে বদলেছে। আমাদের কামনা, তিনি অব্যাহতভাবে এভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যান এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন যাতে বাস্তবায়ন করতে পারেন।’

মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘এবারো আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নিয়েছি। সংবাদপত্র, বিটিভি, বেতারের আয়োজনসহ শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী মোট ১৪টি অনুষ্ঠান হবে। বঙ্গবন্ধুহত্যার পর বাংলাদেশের মানুষ নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা ফিরে এসে দলের সভাপতি হওয়ার পরে সে শূন্যতা পূরণ হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত।’

চলমান নিউইয়র্ক/মোহাম্মদ আলী  

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন