শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

শ্রম খাতে অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে রোববার ঢাকায় আসছে ইইউ দল

শনিবার, নভেম্বর ১১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: দেশের শ্রম খাত নিয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে আলোচনা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দল রোববার (১২ নভেম্বর) ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। এই সফর সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। তারা অন্যান্য প্রাসঙ্গিক অংশীজনদের সাথে আলোচনা ছাড়াও সরকারের শ্রম, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র সচিবদের সাথে বৈঠক করবেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, ‘শ্রম খাতের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘সামগ্রিক মূল্যায়নের’ লক্ষ্যে এই সফর।’

চার্লস হোয়াইটলি, প্রতিনিধি দলের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে ব্রেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস থেকে ঢাকায় আসবেন।

বাংলাদেশ শ্রম খাতে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬) নিয়েছে ও বাংলাদেশ সরকার আইএলও গভর্নিং বডিতে জমা দেয়া রোডম্যাপের সাথে পরিকল্পনাটি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। এই রোডম্যাপের লক্ষ্য হল সংগঠনের স্বাধীনতা ও সম্মিলিত দর কষাকষির অধিকারসহ দেশের শ্রম অধিকারের মান উন্নত করা।

গেল অক্টোবরে চার্লস হোয়াইটলি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের জিএসপি+ আবেদন বিবেচনা করার ক্ষেত্রে শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার ব্যাপারটি ইউরোপীয় সংসদ ও কমিশনের জন্য একটি ‘বিবেচ্য উপাদান’।

ঢাকায় সেমিনারে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কাছে জিএসপি+ এ যোগদান করার বিকল্প রয়েছে, যা এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ)-এরপর পরবর্তী সবচেয়ে উদার জিএসপি প্রোগ্রাম।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কয়েক মাস আগে ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসে (ইইএএস) পাওলা পাম্পালোনির সাথে দেখা করে। তারা ইইউ এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর করা, এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ), শ্রমিক কল্যাণ ও অধিকার এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রতিনিধি দল পাওলা পাম্পালোনিকে অর্থনৈতিক পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক অর্জন ও প্রধান আর্থ-সামাজিক খাতসমূহের ব্যাপক অগ্রগতির ব্যাপারে জানিয়েছে। যেখানে শিল্প খাত; বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ শ্রম আইনের চলমান সংশোধনীগুলো ঘনিষ্ঠভাবে লক্ষ্য করছি। আমরা আশা করি, ত্রিপক্ষীয় অংশীজনদের সাথে পরামর্শ করে এবং আইএলওর প্রযুক্তিগত সহায়তায় সংশোধনীগুলো সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে কার্যকর হবে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতি; যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির একটি দুর্দান্ত গল্প রয়েছে।’

চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়া ঐতিহাসিক মাইলফলক, যা নতুন সুযোগ নিয়ে সৃষ্টি করেছে এবং ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানায়।’

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন