শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি লোডশেডিংয়ের মূল কারণ

সোমবার, জুলাই ১১, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির কারণেই বিদ্যুৎ খাতে লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১০ জুলাই) দুপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার সংসদ ভবন এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদ্যুৎ নিয়ে এত বড়াই করেছেন, সেই বিদ্যুতে আজকে লোডশেডিং করতে হচ্ছে তিন-চার ঘণ্টা করে। এর মূল কারণ হচ্ছে দুর্নীতি। কারণ পাওয়ার প্ল্যান্ট যেগুলো নিয়ে আসা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণভাবে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে আনা হয়েছে। এসব প্রকল্প স্থাপনে কোন আন্তর্জাতিক টেন্ডার পর্যন্ত হয় নি এবং এমন আইন করা হয়েছে, এখানে যদি কোন অভিযোগ উঠে তাহলে কোন রকমের মামলা করা যাবে না- অর্থাৎ ইন্ডেমনিটি দেয়া হয়েছে। কোন সভ্য দেশে কোন প্রকিউরমেন্টের ক্ষেত্রে এটা কোনভাবে হতে পারে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজকে এলএনজি নেয়ার জন্যে এ সরকার গ্যাস উত্তোলনের কোন ব্যবস্থা করে নি। তারা পুরোপুরিভাবে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে ১/২ টি কোম্পানিকে সহযোগিতা করার জন্য তারা এসব দুর্নীতি করছে। পুরো বিষযটা দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশকে লুট করার জন্য সব পরিকল্পনা করে। প্রকৃত পক্ষে এ সরকার একটা লুটেরা সরকারে পরিণত হয়েছে, আওয়ামী লীগ একটা লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি, এ ‘অবৈধ‘, ‘অনির্বাচিত‘ সরকারের উন্নয়নের যে মিথ, যে ধোয়া তারা তোলে, এটা সম্পূর্ণ তাদের অন্য লক্ষ্য আছে। তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দুর্নীতি করা, পকেট ভারি করা। প্রকৃতপক্ষে এ দেশের জনগণের কোন উন্নয়ন হয় নি। আজকে এ দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে গেছে। আজকে শতকরা ৪২ ভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে।’

তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকারের উন্নয়নের যে মিথ, যে ধোঁয়া তারা তুলেন-এটা সম্পূর্ণভাবে তাদের দুই লক্ষ্য আছে। একটি হচ্ছে দুর্নীতির মাধ্যমে তাদের পকেট ভারী করা ও আরেকটি হচ্ছে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যে তারা উন্নয়ন করছে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা আজ প্রার্থনা করেছি, আল্লাহ যেন এ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে সেই শক্তি দেন, যেই শক্তিতে মানুষ বলিয়ান হয়ে এ ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী সরকার, যারা আজকে বাংলাদেশের সব অর্জনকে কেড়ে নিয়েছে, তাদেরকে পরাজিত করে সত্যিকারে একটি জনগণের পার্লামেন্ট, জনগণের সরকার ও সত্যিকার অর্থেই মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে পার্লামেন্ট গঠন করতে পারে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল, ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন