সিএন প্রতিবেদন: সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর (আরএসএফ) মধ্যে লড়াইয়ের মধ্যে সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে গুলি চালানো হয়েছে। এতে বাংলাদেশের কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার (২২ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী খার্তুমে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদের বাসাও আক্রান্ত হয়।
জানা গেছে, সুদানের রাজধানী খার্তুমের বাইরে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
সুদানে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, আমার বাসায় মেশিনগানের গুলির আঘাত হানার পরও আমরা খার্তুমে বসে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ২০ এপ্রিল ইউরোপের এক বন্ধুপ্রতিম দেশের পরামর্শে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মিশন ও বাসা ছেড়ে রীতিমতো অজানার উদ্দেশে যাত্রা করি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, একই গাড়িতে স্ত্রী, সহকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্য মিলিয়ে সাতজন যাত্রা করেছিলেন। এলাকা ছিল জনশূন্য। একটু পরপরই আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞেস করছেন। গন্তব্য অজানা থাকলেও একপর্যায়ে ঠিক হলো দূতাবাসের তৃতীয় সচিব এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা যে এলাকায় থাকেন, সেখানে যাওয়া হবে।
ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জানান, ১৯ এপ্রিল অস্ত্রবিরতি ছিল। ওই সময় মালয়েশিয়া দূতাবাসের একটি গাড়িতে দেশটির পাঁচ কূটনীতিক বিমানবন্দর রওনা হয়েছিলেন। পথে আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তাদের পথরোধ করেন। মালয়েশিয়ার কূটনীতিকেরা আরএসএফ সদস্যদের কাছে তাদের আটকানোর কারণ জানতে চান। তখন ক্ষুব্ধ সুদানের আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা মালয়েশিয়ার কূটনীতিকদের মুঠোফোন কেড়ে নেন। এরপর তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে মিশনে ফিরতে বাধ্য করেন।
তারেক আহমেদ বলেন, মালয়েশিয়ার কূটনীতিকদের সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল। তাই ২০ এপ্রিল রাস্তায় আরএসএফ সদস্যরা আমাদের থামালে তাদের কথামতো গাড়ি থেকে নেমে যাই। আমাদের মুঠোফোনও তাদের দিতে হয়েছিল। পরে আমাদের সুদানি চালক তাদের সঙ্গে কথা বলার পর আমাদের ছেড়ে দেন। ওই দিন বাসা ও দূতাবাস থেকে দূরে আমরা অবস্থান করি।
তিনি বলেন, ২২ এপ্রিল আমরা আবার খার্তুমে ফিরে যাই। কারণ পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র বাসা ও অফিসে রয়ে গেছে। খার্তুমে ফিরে দেখি যে ভবনে আমাদের বাসা তার পুরোটাই খালি। নিরাপত্তাকর্মীরাও চলে গেছেন। এমন একটা অবস্থায় খার্তুম থেকে দূরে সরে যাওয়াটাই সমীচীন মনে হলো।
সিএন/এমটি
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন