শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিকের বিকল্প নেই: চবি উপাচার্য

মঙ্গলবার, এপ্রিল ২, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

সিএন প্রতিবেদন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট পরিবেশ ও স্মার্ট সমাজ। আপনারা দেখবেন ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি কারিগরি শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক, উচ্চ শিক্ষার কথা বলেছেন। আজকে এত বছর পর এসেও বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে আমরা ধারণ করতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা।

সোমবার (১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ‘সাতকানিয়া-লোহাগাড়া স্টুডেন্ট’স ফোরাম’ আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

এসময় উপাচার্য সাতকানিয়া-লোহাগাড়া স্টুডেন্টস ফোরামের শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তাদের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

ফোরামের সভাপতি কায়সার হামিদের সভাপতিত্বে ও আবু সাইদ জিসান এবং সাজ্জাদ হোসাইন খোরশেদের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জয়নুল আবেদীন ফাহিম।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেণু কুমার দে বলেন, ‘সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার জনপদের হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে পুরো বাংলাদেশকে আলোকিত করবে বলে আমি মনে করি। কারণ তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চারজন উপাচার্য তাদের এলাকা থেকে পেয়েছেন। এটি বিশাল পাওয়া। তিনি ছাত্র ফোরামের শিক্ষার্থী ও আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল কামনা করেন।’

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন, অর্থাৎ বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার যে বাসনা তার জন্যে দরকার দক্ষ জনশক্তি। তোমরা যারা শিক্ষার্থী তোমাদেরকে চাকরির পেছনে না দৌঁড়ে নিজেরা একেকজন চাকরি সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্মার্ট ছাত্র, স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও স্মার্ট নাগরিক হতে হলে আমাদের সৎ, আন্তরিক ও নিবেদিত হতে হবে। আমরা বলতে পারি, নবনিযুক্ত উপাচার্য সততা, আন্তরিকতা ও নিবেদিত প্রাণের মূর্তপ্রতীক। আমরা বিশ্বাস করি, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খুব শীঘ্রই ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কে চলে যাবে।’

ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন চবি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সানাউল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. নঈম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব চৌধুরী, ফলিত রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আয়শা আফরিন, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াকুব, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের প্রভাষক সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী।

ইফতার মাহফিল ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া লোহাগাড়া স্টুডেন্ট’স ফোরামের সাবেক সভাপতি আবু তোরাব ও খোরশেদ আলী। উপদেষ্টামণ্ডলীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রী শিমুল বিশ্বাস, জুলকার নাইন, রাশেদ সিকদার, জাহিদ হাসান সবুজ, মিজান শাইখ ও পার্থ প্রতিম বড়ুয়া ছাড়াও ফোরামের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কমর্চারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রসায়ন বিভাগের সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার মাহমুদুল হক সিকদার, ফিজিক্স বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম, আরবি বিভাগের সিনিয়র লাইব্রেরিয়ান হাফেজ ফরিদুল আলম ও আলাওল হলের ঊর্ধ্বতন সহকারী সৈয়দ হোসেন।

সিএন/এমটি

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন