বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

হযরত শাহজালালে যাত্রীদের ওয়েটিং লাউঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য ওয়েটিং লাউঞ্জ উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। বিমানবন্দরে নেমে যাত্রীদের ওয়েটিং লাউঞ্জ উদ্বোধন করবেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অব পার্টিস-২৯ (কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাত ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের মাল্টিলেভেল কার পার্কিং এলাকার দ্বিতীয় তলায় একটি প্রশস্ত ওয়েটিং লাউঞ্জ নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন এই লাউঞ্জে যাত্রীদের অপেক্ষা করার কক্ষ, ‘বেবি-কেয়ার’ কক্ষ, নারী-পুরুষ উভয়ের আলাদা ইবাদতখানা এবং ক্যাফেটেরিয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সব প্রবাসী নাগরিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সেবার উদ্দেশ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই লাউঞ্জে রয়েছে ওয়েটিং এরিয়া, একটি শিশুর যত্নের ঘর, পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য প্রার্থনার স্থান, কিডস জোন এবং সুলভ মূল্যের ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারসহ বিভিন্ন সুবিধা। এই লাউঞ্জটি বাংলাদেশের রেমিট্যান্স উপার্জনকারীসহ সকল যাত্রীদের সেবা প্রদান করার জন্য তৈরি করা হয়েছে, যারা বাংলাদেশের দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এই লাউঞ্জের মাধ্যমে সম্মানিত যাত্রীদের বিমানবন্দরে অপেক্ষার অভিজ্ঞতা আরও আরামদায়ক হবে, যা তাদের অবদানের প্রতি সম্মান ও স্বীকৃতি প্রদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা।

মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ফ্লাইটের জন্য অনেক আগেই বিমানবন্দরে আসা প্রবাসী ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের পরিচিতদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। মূলত নির্ধারিত সময়ে পূর্বে পৌঁছানো যাত্রীদের জন্য পরিবারের সদস্য ও প্রিয়জনদের সঙ্গে শেষ সময়টুকু আনন্দঘনভাবে কাটানোর জন্যই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ.এফ. হাসান আরিফ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্ট ড. আসিফ নজরুল। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সচিব নাসরীন জাহান এবং বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, গত ৫ নভেম্বর বেবিচকের সদর দফতরে ‘নাফিসা হোসাইন মারওয়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র’ এর উদ্বোধন করা হয়। বেবিচক চেয়ারম্যানের উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় মাত্র দুই মাসের মধ্যে এই কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব হয়। শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রটি শহিদ নাফিসা হোসাইন মারওয়ার নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি সাহসিকতার সঙ্গে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে অংশগ্রহণকালে গত ৫ আগস্ট সাভারে গুলিতে শহীদ হন। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে ঢাকায় কর্মরত বেবিচকের ৩২১ জন মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারীরা ৬ মাস থেকে ৩ বছর বয়সী বাচ্চাদের নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবেশে রাখতে পারবেন, যা তাদের কর্মক্ষেত্রে আরও মনোযোগী হতে সহায়তা করবে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন