ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সাথে সংঘাত শুরুর পরপরই ইসরায়েল উপকূলে বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন শনিবার (১৪ অক্টোবর) বলেছেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক পদক্ষেপ বা হামাসের হামলার পর এই যুদ্ধকে আরো প্রসারিত করার যে কোন প্রচেষ্টা ঠেকাতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী ও স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।’
এর অগে সংঘাত শুরুর পরপরই গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড এবং এর সাথে থাকা অন্য যুদ্ধজাহাজগুলোকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। এসব যুদ্ধজাহাজ এরমধ্যেই ওই অঞ্চলে অবস্থান করছে এবং এর সাথে এবার নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আইজেনহাওয়ার এবং এর অধিভুক্ত যুদ্ধজাহাজগুলো সেখানে যোগ দেবে।
লয়েড অস্টিন বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দ্বিতীয় এই বিমানবাহী রণতরী মোতায়েনের মাধ্যমে ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ও এই যুদ্ধ আরো বাড়ানোর যে কোন প্রচেষ্টাকে বাধা দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনের সংকল্পের ইঙ্গিত দেয়।’
গাজায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘ইসরায়েল নির্বিচার বিধ্বংসী হামলা চালিয়ে গাজায় দুই হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।’
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে যুদ্ধাস্ত্র পাঠিয়েছে ও অন্যান্য দেশকে সংঘাত না বাড়াতে সতর্ক করেছে।
দ্বিতীয় বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েনের ঘোষণার একই দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে ফোন কলে গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ও বোমাবর্ষণের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার প্রচেষ্টার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের ওপর জোর দেন।
হোয়াইট হাউস এই ফোনালাপ সম্পর্কে একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘বাইডেন বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার সব প্রচেষ্টার জন্য তার সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
সিএন/এমএ
Views: 0
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন