যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি পদে ২৭ বছর বয়সী ক্যারোলিন লেভিতকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি নির্বাচনে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘ক্যারোলিন দক্ষ ও দৃঢ়চেতা একজন মানুষ। যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিজের পারদর্শিতা তিনি দুর্দান্তভাবে প্রমাণ করেছেন। আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে তিনি ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করবেন ও আমেরিকান জনগণের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে সহায়তা করবেন।’
৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ের পর থেকে নিজের প্রশাসন গোছাতে শুরু করেছেন ট্রাম্প। গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় নিয়োগ কিংবা মনোনয়ন দেওয়া শুরু করেছেন। ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা পাওয়া কম বয়সীদের একজন হলেন ক্যারোলিন। হোয়াইট হাউসে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন। তাঁদের প্রশ্নের জবাব দেবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সহকারী প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন ক্যারোলিন। এরপর ২০২২ সালে নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হতে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। কিন্তু সফল হতে পারেননি।
এ ছাড়া কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিকের যোগাযোগ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ক্যারোলিন। নতুন প্রশাসনে এলিসকে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পদে মনোনয়ন দিয়েছেন ট্রাম্প।
গতকাল অনলাইনে সম্প্রচার হওয়া ফক্স নিউজের এক পডকাস্টে অংশ নিয়ে ক্যারোলিন জানান, ট্রাম্পের প্রচার শিবিরে তিনি ন্যাশনাল প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন। নির্বাচনের আগে গত জুলাইয়ে তিনি প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
পডকাস্টে ক্যারোলিন বলেন, রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠেননি তিনি। নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যে মধ্যবিত্ত একটি ব্যবসায়ী পরিবারে তাঁর বেড়ে ওঠা। ম্যানচেস্টারে কলেজে পড়ার সময় থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনের খবর, এর আগে হোয়াইট হাউসে সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন রন জিয়েগলার। ১৯৬৯ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন তাঁকে এই পদে নিয়োগ দেন। দায়িত্ব নেওয়ার সময় রনের বয়স ছিল ২৯ বছর।
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ট্রাম্পের মনোনয়ন পাওয়া স্টেফানিক ছিলেন তাঁরই সমালোচক
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক পদে ট্রাম্প মনোনীত তুলসী গ্যাবার্ডকে নিয়ে কেন এত বিতর্ক
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন