শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

২০২৩ সালে নোবেল পেলেন যারা

সোমবার, অক্টোবর ৯, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ইফতেখার ইসলাম: বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। ফিজিওলজি বা মেডিসিন, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি, অর্থনীতি—এই ৬ ক্যাটাগরিতে প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। সোমবার(২ অক্টোবর) থেকে ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার শুরু হয় এবং ৯ অক্টোবর ঘোষণা শেষ হয়। ২০২৩ সালে বিভিন্ন বিষয়ে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন—

করোনা টিকার জন্য চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ক্যাটালিন-ড্রিউ

সর্বাধুনিক পদ্ধতিতে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির পথ দেখিয়ে ২০২৩ সালে চিকিৎসায় নোবেল জিতলেন দুই বিজ্ঞানী। তারা হলেন-ক্যাটালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইজম্যান। ক্যাটালিন ১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরিতে জন্মগ্রহণ করেন। ২০২১ সাল থেকে তিনি সিজড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ওয়েইজম্যানের জন্ম ১৯৫৯ সালে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস। তিনি আমেরিকার পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশনে কাজ করেন।

করোনা টিকা তৈরির ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নাম ‘এমআরএনএ’। মডার্না ও ফাইজার/বায়োএনটেকের করোনার টিকা এই প্রযুক্তিতে তৈরি। প্রথাগত টিকাগুলো রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মৃত বা দুর্বল অংশ দিয়ে তৈরি। কিন্তু এমআরএনএ প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা হয় এক ধরনের প্রোটিন, যা দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর কোনো নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে মানবদেহের সহজাত প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। এই এমআরএনএ প্রযুক্তিকে কার্যকর করতে মানবকোষের প্রধান অংশ নিউক্লিয়াসের অনুপুঙ্খ গবেষণা জরুরি ছিল। এই দুই বিজ্ঞানী সেই কাজটিই করেছেন। তাদের ‘নিউক্লিওসাইড বেইজড মডিফিকেশন’ গবেষণার সাফল্যই এমআরএনএ করোনা টিকা তৈরির পথ সুগম করে।

ক্যারিকো ও ওয়েইজম্যান ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সটি অব পেনসিলভানিয়ায় প্রথম একত্রে কাজ করতে শুরু করেন। ২০০৫ সালে তাদের গবেষণার ফল প্রকাশ করেন। হাঙ্গেরির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কাজ করতেন ক্যারিকো। সেখানে চাকরি হারালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি।

২০২৩ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ জন

এ বছর পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন মার্কিন বিজ্ঞানী পিয়েরে অ্যাগোস্টিনি, গাঙ্গেরির ফেরেন্স ক্রাউজ এবং ফ্রান্সের অ্যান হুইলেয়ার। ইলেকট্রন গতিবিদ্যার গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সাইন্স। ইলেকট্রন গতিবিদ্যায় পরীক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে কীভাবে আলোর অ্যাটোসেকেন্ড পালস তৈরি হয়, তাদের গবেষণায় সেটি দেখানো হয়েছে।

নোবেল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, অ্যাগোস্টিনি, ক্রাউস এবং ল’হুইলিয়ার আলোর অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত স্পন্দন তৈরির একটি উপায় আবিষ্কার করেছেন, ইলেকট্রনগুলোর চলাচল বা শক্তি পরিবর্তনের প্রক্রিয়াগুরো দ্রুত পরিমাপ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তিন বিজ্ঞানীর এই আবিষ্কার অনু-পরমাণুর ভেতরে ইলেকট্রনের জগৎ অন্বেষণের জন্য মানুষের হাতে নতুন সরঞ্জাম তুলে দিয়েছেG

পিয়েরের বাড়ি যুক্তরাষ্ট্র, ফেরেঙ্কর জার্মানি ও অ্যান লর সুইডেন। পদার্থের ইলেকট্রন ডাইনামিকস গবেষণায় আলোর অ্যাটোসেকেন্ড স্পন্দন তৈরির পরীক্ষণলব্ধ প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করায় পুরস্কার পান তারা।

রসায়নে নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তিন বিজ্ঞানী

রসায়নশাস্ত্রে ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার পেলেন ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে জন্ম নেয়া তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন—মুঙ্গি বাওয়েন্ডি (ফ্রান্স), লুই ব্রুস (যুক্তরাষ্ট্র) ও আলেক্সি ইয়াকিমভ (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন)। ‘কোয়ান্টাম ডট আবিষ্কার ও সংশ্লেষণ’র জন্য এই তিন বিজ্ঞানীকে চলতি বছর রসায়নে নোবেল দেওয়া হয়। এই গবেষণাকে মানব জীবনের জন্য বিশেষ উপকারী বলে আখ্যা দেয় নোবেল কমিটি।

বিজয়ীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউটে অধ্যাপনা করেন মোঙ্গি বাভেন্দি। আরেক বিজয়ী লুই ই ব্রুস কাজ করেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। অপরদিকে ন্যানো ক্রিস্টালস টেকনোলজির গবেষক আলেক্সেই একিমোভ। আশির দশকেই কোয়ান্টাম ডট নিয়ে গবেষণায় সাফল্য পান তারা। কোয়ান্টাম ডট মূলত এক ধরনের ন্যানো পার্টিকেল। এগুলো এতই ক্ষুদ্র যে, কোয়ান্টাম ইফেক্টের মাধ্যমে এদের চরিত্র নির্ধারণ করা যায়।

সাহিত্যে নোবেল পেলেন ইয়োন ফসে

২০২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন নরওয়েজিয়ান লেখক ইয়োন ফসে। তিনি উদ্ভাবনী নাটক এবং ভাষাহীনের মুখে ভাষা দেওয়া গদ্যের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন।

ইয়োন ফসে প্রচুর নাটক, উপন্যাস, কবিতার সংগ্রহ, প্রবন্ধ, শিশুদের বই এবং অনুবাদ করেছেন। বর্তমানে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাট্যকারদের একজন। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আগে তিনি সুইডিশ একাডেমি নরডিক পুরস্কার, ইউরোপিয়ান প্রাইজ ফর লিটারেচারসহ বেশ কিছু সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি গদ্যের জন্য স্বীকৃত হয়েছেন।

ইয়োন ফসের লেখা ‘ইন দ্য ব্ল্যাক ফরেস্ট ইনসাইড’ (২০২৩) নাটকে দেখা যায়, একজন ভবঘুরে লোক নেভিগেট করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। প্রলাপ বকতে বকতে অন্ধকারে গাড়ি চালিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে। ইয়োন ফসের লেখার প্রবণতা হলো মানুষের বিশেষ অবস্থা।

ইয়োন ফসে নরওয়ের হাউজসুন্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ৭ বছর বয়সে একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেন। এ অভিজ্ঞতা তাঁর লেখাকে প্রভাবিত করেছে। প্রথম উপন্যাস ‘রেড, ব্ল্যাক’ ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত হয়। প্রথম নাটক ‘অ্যান্ড উই উইল নেভার বি পার্টেড’ ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয়।

২০১৫ সালে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের সেরা ১০০ জন জীবিত প্রতিভাবানের তালিকায় জায়গা পান। ২০১৫ সালে নর্ডিক কাউন্সিলের সাহিত্য পুরস্কার পান তিনি। ফারসি ভাষাসহ বহু ভাষায় তাঁর নাটক অনুবাদ করা হয়েছে। ইরানের অনেক মঞ্চে তাঁর লেখা নাটক নিয়মিত প্রদর্শিত হয়।

শান্তিতে নোবেল পেলেন ইরানের নারী অধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি

কারাগারে থাকা ইরানের নারী অধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। মোহাম্মদী ইরানের অন্যতম মানবাধিকারকর্মী। তিনি নারীর অধিকার এবং মৃত্যুদণ্ড বিলোপের ক্যাম্পেইনের সঙ্গে যুক্ত।

‘ইরানে নারীদের বিরুদ্ধে চলা নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবং সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় তার লড়াইয়ের জন্য দ্য নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার নার্গিস মোহাম্মদীকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে,’ বলেন কমিটির প্রধান বেরিত রেইস-অ্যান্ডারসন।

একাধিক রায়ে বর্তমানে ইরানের এভিন প্রিজনে মোট ১২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন মোহাম্মদী। এর আগেও তাকে একাধিকবার কারাগারে নিয়েছিল ইরানি কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো।

২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী শিরিন এবাদির নেতৃত্বাধীন অলাভজনক সংস্থা ডিফেন্ডারস অভ হিউম্যান রাইটস সেন্টার-এর উপ-প্রধান নার্গিস মোহাম্মদি। নোবেল শান্তি পুরস্কারের ১২২ বছরের ইতিহাসে এ পুরস্কারজয়ী ১৯তম নারী মোহাম্মদি।

নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নার্গিস মোহাম্মদি একজন নারী অধিকারকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও স্বাধীনতা যোদ্ধা। তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য সাহসী লড়াইয়ের ফলে ব্যক্তিগত অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে তাকে। ইরানের শাসকরা তাকে ১৩ বার গ্রেফতার করেছে, পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং সব মিলিয়ে ৩১ বছরের কারাদন্ড ও ১৫৪টি বেত্রাঘাত করেছে। তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন। এদিকে নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে ইরানে নারীদের নিয়ে সরকারের বৈষম্য ও নিপীড়ন মূলক নীতির বিরুদ্ধে গত বছর যে হাজার হাজার ইরানি নারী বিক্ষোভ করেছেন তাদের আন্দোলনেরও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা যে মন্ত্র গ্রহণ করেছেন তা হলো, নারী, জীবন, স্বাধীনতা; যা নার্গিস মোহাম্মদির আত্মত্যাগ ও কাজকে উপযুক্তভাবে প্রকাশ করে

নারী শ্রমবাজার নিয়ে গবেষণা, অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ক্লডিয়া গোল্ডিন

নারী শ্রম বাজারের প্রভাব নিয়ে মানুষের বোঝাপড়ার উন্নয়ন ঘটানোর স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ ক্লডিয়া গোল্ডিন। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস সোমবার মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানব সভ্যতায় নারীর অর্থনৈতিক অবদান, উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাকর্ম রয়েছে অধ্যাপক ক্লডিয়া গোল্ডিনের। বিভিন্ন রেকর্ড ও আর্কাইভ ঘেঁটে অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে যেসব তথ্য হাজির করেছেন এই অধ্যাপক, তা রীতিমতো বিস্ময় জাগানিয়া।

সমাজে নারীর অর্থনৈতিক অবদান বিচার বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নারীর বিবাহ ও সন্তানধারণ। মূলত এ দুই কারণে অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা পুরুষের চেয়ে কম বলে বিবেচনা করেন অনেকেই।

কিন্তু নারীর বিবাহ ও সন্তানধারণের মাধ্যমেও নারীরা কীভাবে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখছেন হাজার হাজার বছর ধরে— তা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছেন ক্লডিয়া গোল্ডিন। মূলত এ কারণেই তাকে নোবেলের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

গত ৫৪ বছরের ইতিহাসে চতুর্থ নারী হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেলজয় করলেন ক্লডিয়া গোল্ডিন। তার আগে এই শাখায় এই পুরস্কার অর্জন করেছেন মাত্র ৩ জন নারী।

১৯৪৬ সালে নিউ ইয়র্কে জন্ম ক্লডিয়া গোল্ডিনের।  ১৯৭২ সালে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপনায় যুক্ত।

এর আগে ২০০৯  অর্থনীতিতে প্রথম  নারী হিসেবে  নোবেল জিতেছিলেন এলিনর অসট্রম।

উল্লেখ্য, ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪ শতাংশ (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরষ্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮-তে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি।

পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সাল থেকে এ পুরস্কার দেয়া শুরু হয়।

পরে আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করা এবং নোবেল পুরষ্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। আর বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ একাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেয়া হয়।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন