শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

২৮ অক্টোবর খুলছে বঙ্গবন্ধু টানেল, চলছে ফিনিশিং টাচ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৩, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে। নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে প্রায় শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এখন ফিনিশিং টাচ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮ অক্টোবর টানেলটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী এসব বিষয় জানান।

তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলটি যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। এই ঐতিহাসিক প্রকল্পটি হচ্ছে দেশের প্রথম পানির নিচে নির্মিত টানেল। এটি উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এই টানেলটি চট্টগ্রামকে দুই শহর নিয়ে এক মহানগর এ পরিণত করবে। মাল্টিলেন টানেলটি সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরকে আনোয়ারা উপজেলার সাথে সংযুক্ত করবে, যা কক্সবাজারকে সরাসরি চট্টগ্রামের সাথে সংযুক্ত করবে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, টানেলে ৩৫ ফুট চওড়া ও ১৬ ফুট উঁচু এবং ১১ মিটার ব্যবধানে দুটি টিউব তৈরি করা হয়েছে যাতে ভারী যানবাহনগুলি সহজেই টানেলের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে পারে। টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪০ কিলোমিটার। এটির সঙ্গে ৫.৩৫ কিলোমিটারের একটি অ্যাপ্রোচ রোডের পাশাপাশি একটি ৭৪০ মিটার সেতু রয়েছে যা মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সাথে সংযুক্ত করেছে।

তিনি বলেন, প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রধান বন্দর নগরী এবং কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম পাশকে নদীর পূর্ব দিকে এবং আনোয়ারা উপজেলার সাথে যুক্ত করে মোট ৭৪০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত করবে এবং দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দিবে। এই টানেলে যানবাহন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করতে পারবে।

বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মানে ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা । বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক দুই শতাংশ সুদে ৫,৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এবং বাকি অংশের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন