বিশেষ প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে) অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত অভিবাসী আমেরিকান নাগরিকদের নাগরিকত্ব বাতিল বা ডিনেচারালাইজেশন কার্যক্রম শুরুর কথা ভাবছে। যেসব অপরাধ যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও নৈতিকতা নিয় প্রশ্ন উঠায় সেসব অপরাধের জন্য প্রাপ্ত নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে।
এই প্রক্রিয়ার লক্ষ্য হচ্ছে সেসব ব্যক্তি যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে, প্রতারণা করে অথবা জঙ্গি কার্যকলাপ, যুদ্ধাপরাধ, মানবপাচার, ও নির্দিষ্ট গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে নাগরিকত্ব অর্জন করেছে। বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব ক্ষেত্রে তারা নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইনি প্রক্রিয়ায় যাবে।
নাগরিকত্বের অপব্যবহার করলে রেহাই নেই এমন বার্তাই দেয়া হচ্ছে। বিচার বিভাগের এক মুখপাত্র জানান, নাগরিকত্ব হচ্ছে একটি সম্মানের প্রতীক এবং এর অপব্যবহার করলে তা প্রত্যাহার করার অধিকার রাখে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
তিনি আরও বলেন, জঘন্য অপরাধ যারা করেছে, তারা যেন নাগরিকত্বের সুরক্ষা নিয়ে নিরাপদে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে ডিওজে বদ্ধপরিকর।বিচার বিভাগের এই পদক্ষেপে উদ্বেগ ও সমর্থন দুই-ই।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই উদ্যোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, এতে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণের ঝুঁকি বাড়বে।
এই ধরণের ডিন্যাচারালাইজেশন প্রচেষ্টা ২০১০ সালের পর থেকে নতুন মাত্রা পায়। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তি যিনি নাৎসি যুদ্ধাপরাধে যুক্ত ছিলেন, তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয় এবং তাকে জার্মানিতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব কোনো স্বয়ংক্রিয় অধিকার নয়—এটা অর্জনের পরও সুরক্ষিত রাখতে হয় দেশের প্রতি আনুগত্য ও আইন মেনে চলার মাধ্যমে। ডিওজে-এর এই উদ্যোগ সেই বার্তাই আরও একবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছে।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন