বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থী রাসেলের

সোমবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২১

প্রিন্ট করুন
d 1

ক্যাম্পাস প্রতিবেদকঃ

সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( জিএসটি ) অর্থাভাবে আবেদন করতে পারছে না মেধাবী শিক্ষার্থী রাসেল সরকার। রাসেল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের  নজির সরকারের ছেলে। তার পিতা পেশায় ভ্যান চালক। অনুষ্ঠিত জিএসটি ভর্তি পরীক্ষায় সি ইউনিট থেকে ৬৭.৭৫ পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি ও ভর্তির টাকা সংগ্রহ নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে মেধাবী এ শিক্ষার্থী। এখন পর্যন্ত সমাজের কোনো বিত্তবান ব্যক্তি তার সহায়তার জন্য এগিয়ে আসেননি বলে জানা যায়। 

রাসেল সরকার একরাশ হতাশা নিয়ে গণমাধ্যমে জানান, “লেখাপড়ার  ফাঁকে ফাঁকে আগে  রাজমিস্ত্রির কাজ সহ অনেক প্রকার কাজ করতে হয়েছে। কিছু সময় টিউশনি করিয়েও লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছি। কিন্তু করোনা ও ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সব ছেড়ে দিয়েছি। আর্থিক সমস্যার কারণে শুধু জগন্নাথ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছি। এখন কোনো কারণে যদি এই দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পাই তবে আমার এতোদিনের লালিত স্বপ্ন একবারেই শেষ হয়ে  যাবে। তাই সমাজের বৃত্তবান  ব্যক্তিদের কাছে আমার অনুরোধ, আমার ক্লান্তিলগ্নে আর্থিকভাবে সাহায়তা করে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণে একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন “। 

রাসেল সিরাজগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী শাহজাদপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে জেএসসি ও ২০১৮ সালে মাধ্যমিক  পরিক্ষায় ব্যবসা বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে জিপিএ ৫.০০ অর্জন করেন। পরে  ২০২০ সালে শাহজাদপুর সরকারি কলেজের ব্যবসা বিভাগ থেকে জিপিএ ৫.০০  অর্জন করে রাসেল। উচ্চ-মাধ্যমিকের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে রাজশাহী বোর্ড থেকে পরবর্তীতে তিনি সাধারণ বৃত্তি পাবার জন্য মনোনীত হন। 

এদিকে, জিএসটির অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর  ভর্তি বিজ্ঞাপ্তির সময়সীমা শেষ দিকে চলে আসায় হতাশ হয়ে পরেছে রাসেল সরকার। তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে চেয়েও অর্থাভাবে করতে পারেনি বলে জানা যায়।  রাসেলের মুঠোফোন নাম্বার ( 01909597284)।

উল্লেখ্য যে ,  জিএসটি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রাথমিকভাবে ১২০০ টাকা ফি প্রদানের পর পুনরায়  আবেদন ফি নির্ধারণ করায় ক্ষুদ্ধ ভর্তিচ্ছু অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। এতে করে অস্বচ্ছল হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
আরএইচ/ 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন