ইফতেখার ইসলাম: প্রকৃতিতে এখন হেমন্তের শুরু। গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরৎ পেরিয়ে দখিনা বাতাস বইতে শুরু করেছে। শেষ রাতের দিকে একটু একটু শীতের ভাবও দেখা দিয়েছে। পাহাড়-কিংবা গ্রামীণ অঞ্চলে এই চিত্র আরও স্পষ্ট। আর প্রকৃতির এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার আগে নানান রকমের মৌসুমী রোগবালাই দেখা দিচ্ছে।
মূলত ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাস যখন বেড়ে যায়, তখন ভাইরাল ফিবার, ভাইরাল রাইনাইটিস, সাইনোসাইটিস এগুলো হয়। আর আমাদের শরীরের সঙ্গে যে একটি ভারসাম্য থাকে এখানে পরিবর্তন হয়। পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক সময় কাশি হয়, সর্দি হয়। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে শরীরের পরিবর্তন হয়, এটি হলো প্রধান কারণ। তাই আমাদের সাবধান থাকতে হবে অনেক বেশি।
শীতের আগমণ বাড়ায় ঠাণ্ডাজনিত রোগ
শীতের শুরু হলে বাতাসের আদ্রতা কিছুটা পরিবর্তন হয়ে থাকে। যার সাথে সামঞ্জস্য করতে না পেরে নানান রকমের রোগের সম্মুখীন হয় মানুষ। বিশেষ করে শ্বাষতন্ত্রের রোগ বেড়ে যায় এই সময়টায়।
মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হাসিনাতুন জান্নাত বলেন, শীতের এই সময়টায় ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাগুলোই বেশি দেখা যায়। যেমন কাশি, অ্যাজমার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া, সাময়িক জ্বর, কোল্ড অ্যালার্জি হয়ে থাকে। এ সময় বাতাসে ধুলাবালি বেশি থাকায় অনেকে অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা যায়।
তিনি বলেন, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষদের কাশি, কোল্ড অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠিক সময়ে সনাক্ত করা না গেলে সেটা অনেক সময় নিউমোনিয়াতেও রূপ নিতে পারে। ঠাণ্ডার কারণে অনেকের টনসিল বেড়ে গিয়ে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।
শীতে যে রোগ বালাই দেখা দিতে পারে
শীতে হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, অ্যালার্জির মতো নানা রোগের প্রকোপ বাড়ে। সেই সঙ্গে পরিবেশে কিছু রোগজীবাণু বাড়ে। তাই এ সময় সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি। তাই সাবধান থাকতে হবে। বাংলাদেশে বছরজুড়েই ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা হতে পারে। কিন্তু শীতে প্রতিবারই এর প্রকোপ বেড়ে যায়। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ সমস্যার জন্য দায়ী ইফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস পরিবেশে বাড়ে। এ ভাইরাস হাঁচি, কাশি ও বাতাসের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরিণামে জ্বর, কাশি, সর্দি, নাক বন্ধ ইত্যাদি দেখা দেয়।
নিউমোনিয়া: শীতের শুরু থেকেই ফুসফুসের সংক্রমণ বা নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে। নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া এই নিউমোনিয়া সৃষ্টি করতে পারে। বেশি আক্রান্ত হয় ছোট শিশু, বয়স্ক লোকেরা। এ ছাড়া মেয়াদি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, যেমন- ডায়াবেটিস, কিডনি শ্বাসতন্ত্র বা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিশেষ ঝুঁকিতে থাকেন।
প্রচণ্ড জ্বর, কাশি, দ্রুত শ্বাস, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি নিউমোনিয়ার লক্ষণ। দ্রুত চিকিৎসা না নিলে জটিলতা হতে পারে। ঝুঁকি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের নিউমোনিয়ার টিকা দিয়ে নেওয়া ভালো। শিশুদের জ্বর ও কাশির সঙ্গে বুকের পাঁজর ওঠা-নামা করলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া জরুরি। অ্যান্টিবায়োটিকের ক্রমবর্ধমান অকার্যকারিতার জন্য নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর হার বাড়ছে। নিউমোনিয়া দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রা ও মেয়াদে সেবন করতে হবে। বয়স্কদের নিউমোনিয়া ভ্যাক্সিন নিতে হবে।
ডায়রিয়া: পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া সারা বছরই হতে পারে। তবে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া অনেক সময় শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। এ রোগেও তেমন কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, কেবল পানি ও লবণশূন্যতা থেকে রক্ষা করাটাই জরুরি।
নাক-কান-গলা: শীতে বাড়তে পারে গলনালির প্রদাহ বা ফ্যারিনজাইটিস, সাইনাসের প্রদাহ এবং রাইনাটিস। ঠাণ্ডা হাওয়া, শুষ্কতা, পরিবেশের ধূলাবালি শীতের ব্যাধি ইত্যাদি এর জন্য দায়ী। ছোটরাই বেশি আক্রান্ত হয়। সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, টনসিল ফুলে যাওয়া, মাথাব্যথা, নাক বন্ধ বা নাক দিয়ে পানি ঝরা ইত্যাদি বিরক্তিকর উপসর্গ দেখা দেয়। এই সমস্যাও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাসজনিত এবং নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে স্ট্রেপটোকক্কাল সোর থ্রোট হলে অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
নিপাহ ভাইরাস: শীত মৌসুমে কয়েক বছর ধরে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। এ ভাইরাস বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। শীতকালে গ্রামে খেজুরের রস খাওয়ার ধুম পড়ে। বাদুড়ের লালা, মূত্র ইত্যাদি দিয়ে এ রস সংক্রমিত হয়ে মানুষে ছড়ায়। নিপাহ ভাইরাসের আক্রমণে শ্বাসতন্তের সংক্রমণ, এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহ হতে পারে। খেজুরের রস কাঁচা খাওয়া উচিত নয়।
অ্যাজমা: হাঁপানি বা অ্যাজমাজাতীয় শ্বাসকষ্টের রোগ শুধু শীতকালীন রোগ নয়, তবে শীতে এর প্রকোপ অনেকাংশে বেড়ে যায়। অ্যাজমা একবার হলে এর ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হয় সারা জীবনই। তবে অ্যাজমাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে জটিলতা বা ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে। এ জন্য অ্যাজমার রোগীরা শীতে পর্যাপ্ত গরম জামা-কাপড়ের বন্দোবস্ত করতে হবে। ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা এবং বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে।
চর্মরোগ: শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে। শুষ্ক বাতাস ত্বক থেকে শুষে নেয় পানি। ফলে ত্বক হয়ে পড়ে দুর্বল। ত্বকের ঘর্মগ্রন্থি ও তেলগ্রন্থি ঠিকমতো ঘাম বা তৈলাক্ত পদার্থ তৈরি করতে পারে না। এতে ত্বক আস্তে আস্তে আরো শুষ্ক, ফাটল ধরে ও দুর্বল হয়। একসময় ত্বক ফেটে যায়। শীতের সময় নানা ধরনের চর্মরোগ হতে পারে। বিশেষ করে ঠোঁট, হাত ও পায়ের ত্বকে দেখা দেয় চুলকানি, একজিমা, স্ক্যাবিস, চর্মরোগ প্রভৃতি। এ ছাড়া মাথায় প্রচুর খুশকি দেখা যায়। এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে অলিভ অয়েল ব্যবহার, হাত ও পায়ের তালু এবং ঠোঁটে ভ্যাসেলিন, গ্লিসারিন, অলিভ অয়েল ও সরিষার তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাতব্যথা: আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যা শীতের সময় বেড়ে যায়। মূলত বয়স্কদেরই এ সমস্যা হয় বেশি। বিশেষ করে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা এনকাইলোজিং স্পন্ডিওলাইটিস, স্পন্ডাইলো আর্থ্রাইটিস, রি-অ্যাকটিভ আর্থ্রাইটিস, সোরিয়াসিটিস, অস্টিও আর্থ্রাইটিস রোগীদের শীতের সময় চলাফেরা বা মুভমেন্ট কম হয় বলে ব্যথার প্রকোপ বেড়ে যায়।
শীত-ঠান্ডায় যেভাবে সচেতন থাকবেন
শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কিছু উপায়ের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট মাইন্ডবডিগ্রিন।
ভিটামিন সি: ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। সতেজ ফল ও সবজি ভিটামিন ‘সি’র চমৎকার উৎস। আমলকী, আমড়া, কমলা, সবুজ সবজির ইত্যাদির মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে।
ভেষজ ও মসলা: পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ ইত্যাদি ভেষজ ও মসলা রান্নার সময় ব্যবহার করুন। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে কাজ করে।
পানি পান করুন: শীতে অনেকে পানি কম পান করে। তবে জানেন কি, শীতেও কিন্তু পানিশূন্যতার সমস্যা হয়? তাই শীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে।
সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম: দীর্ঘমেয়াদি অবসন্নতা রোগব্যাধির ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। আর ভালোমতো ঘুম অবসন্নতা কাটাতে সাহায্য করে। তাই অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান। আর যদি ঘুমানোর সময় না পান, তাহলে দুপুরের অন্তত আধা ঘণ্টা বিশ্রাম নিন। এতে ক্লান্তি অনেকটাই কাটবে।
ব্যায়াম: ব্যায়াম কেবল শরীরকে ফিট রাখতেই নয়, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন আধা ঘণ্টা হাঁটাও শরীরকে ভালো রাখতে কাজ করে। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করুন।
সমস্যা যদি নরমাল হয়ে থাকে তবে কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে রোগ থেকে বাঁচা যায়। আর সমস্যা যদি জটিল হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আরও কিছু উপায় আছে যা মেনে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শীতের রোগ প্রতিরোধ করা যায়—
- ঠান্ডা খাবার ও পানীয় খাওয়া একেবারে বাদ দিতে হবে।
- কুসুম কুসুম গরম পানি পান করা ভালো। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা উচিত।
- প্রয়োজনমতো গরম কাপড় পরা। তীব্র শীতের সময় কানঢাকা টুপি পরা এবং গলায় মাফলার ব্যবহার করা।
- ধুলাবালু এড়িয়ে চলা।
- ধূমপান পরিহার করা।
- ঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা।
- হাঁপানির রোগীরা শীত শুরুর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রতিরোধমূলক ইনহেলার বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।
- যাঁদের অনেক দিনের শ্বাসজনিত সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোক্কাস নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া উচিত।
- তাজা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা, যা দেহকে সতেজ রাখবে এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
- হাত ধোয়ার অভ্যাস করা। বিশেষ করে চোখ বা নাক মোছার পরপর হাত ধোয়া।
সব সময়ই যে শীতে রোগব্যাধি বাড়বে তাও সত্য নয়। সাধারণভাবে শীতকালে মানুষের রোগ কম হয়। তাই বাড়তি সতর্কতার পাশাপাশি অযথা আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। - ঠান্ডা খাবার ও পানীয় খাওয়া একেবারে বাদ দিতে হবে।
- কুসুম কুসুম গরম পানি পান করা ভালো। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা উচিত।
- প্রয়োজনমতো গরম কাপড় পরা। তীব্র শীতের সময় কানঢাকা টুপি পরা এবং গলায় মাফলার ব্যবহার করা।
- ধুলাবালু এড়িয়ে চলা।
- ধূমপান পরিহার করা।
- ঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা।
- হাঁপানির রোগীরা শীত শুরুর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রতিরোধমূলক ইনহেলার বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।
- যাঁদের অনেক দিনের শ্বাসজনিত সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোক্কাস নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া উচিত।
- তাজা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা, যা দেহকে সতেজ রাখবে এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
- হাত ধোয়ার অভ্যাস করা। বিশেষ করে চোখ বা নাক মোছার পরপর হাত ধোয়া।
সব সময়ই যে শীতে রোগব্যাধি বাড়বে তাও সত্য নয়। সাধারণভাবে শীতকালে মানুষের রোগ কম হয়। তাই বাড়তি সতর্কতার পাশাপাশি অযথা আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
শীতে যা খেলে সুস্থ থাকবেন
শীতে মৌসুমি শাকসবজি বা ফল গ্রহণের মাধ্যমে সহজেই শরীরের চাহিদা মোতাবেক পুষ্টি উপাদান, বিশেষ করে ভিটামিন ও মিনারেলসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। অন্য সময়ের চেয়ে শীতকালের শাকসবজি এবং ফলের স্বাদ এবং পুষ্টি গুণাগুণও বেশি থাকে। শীতে রোগমুক্ত থাকার খাবার নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন কিংসটন হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মকর্তা নাজিয়া আফরিন।
শীতে বাজারে দেখা যায় ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, লালশাক, পালংশাক, মুলা, শালগম, শিম, টমেটো, পেঁয়াজ পাতা, লাউ, ব্রোকলি, মটরশুঁটি, গাজর, ধনিয়াপাতা, লাউ ইত্যাদি। এসবে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, বিটা-ক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, এন্টিঅক্সিডেন্ট, আঁশ ও ভিটামিন বিদ্যমান। অস্থিক্ষয় রোধে ও শরীরে রক্তকণিকা বা প্ল্যাটিলেট গঠনেও শীতকালীন শাকসবজির ভূমিকা অপরিসীম। ভিটামিন-সি, এ এবং ই-এর ঘাটতি পূরণ করে এসব ফল ও শাকসবজি। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন-ই; যা স্থুলতার সমস্যা থেকে রক্ষা করে ও চুলপড়া কমায়।
এছাড়া কিছু পানীয় ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে নানা উপকারের পাশাপাশি আমাদের আরাম দিতে পারে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়েট অ্যান্ড নিউট্রিশন কনসালটেন্ট পুষ্টিবিদ তাসনিম আশিকের মতে যেসব পানীয় ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা লাগব করবে-
দারুচিনি: দারুচিনি ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। গরম পানিতে কয়েক টুকরা দারুচিনি দিয়ে তা ফুটিয়ে পান করলে বা দারুচিনিগুঁড়া যদি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় তবে তা ঠাণ্ডার সমস্যা অনেকটা দূর করে থাকে। সেই সঙ্গে সাইনাস এবং মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও আরাম প্রদান করে থাকে।
আদা: আদা রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আদার পুষ্টি গুণাগুলে ভরপুর। এই সময়ে কুসুম গরম পানিতে আদাকুচি করে ফুটিয়ে যদি পান করা যায় তবে তা বেশ কার্যকরী। সেই সঙ্গে আদা দিয়ে রং চা বানিয়েও খাওয়া যায়- এটিও বেশ উপকারী। ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করার পাশাপাশি তা অনেকক্ষণ পর্যন্ত এনার্জিটিক রাখতে সাহায্য করে।
লেবু ও মধুর পানি: খুবই পরিচিত একটি পানীয় লেবু-মধুর পানি। এই পানীয় হজমশক্তি বাড়াতে যেমন সাহায্য করে তেমনি গলার ব্যথা ও সর্দি দূর করতেও সাহায্য করে।
লবঙ্গ ও গোলমরিচ: সামান্য পরিমাণ লবঙ্গ এবং গোলমরিচ যদি একটু চিবিয়ে খাওয়া যায় তবে তা গলা ব্যথা, মাথা ব্যথার সমস্যা দূর করতে কিছুটা সহায়তা করে থাকে। রং চায়ের সঙ্গে ফুটিয়েও লবঙ্গ ও গোলমরিচ পান করা যায়। এটি ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে আরাম দিয়ে থাকে।
পুদিনা পাতা ও তুলসি পাতা: পুদিনা পাতা ও তুলসি পাতা দিয়ে তৈরি করা চা অনেক সময় কফ (কাশ) জমে থাকার সমস্যা দূর করে থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যদি এর সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খাওয়ানো যায় তবে তা আরও অনেক বেশি উপকারী।
- শেষমেষ প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন বিজয় দেবারাকোন্ডা, প্রেমিকা কী রাশ্মিকাই?
- যুক্তরাষ্ট্রে বোমা হামলার পরিকল্পনা, যুবক গ্রেফতার
- ব্যারিস্টার সুমনের ওপর পচা ডিম নিক্ষেপ
- গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব, নতুন সিইসি নাসির উদ্দীন
- যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগের পর আদানি গ্রুপের শেয়ারে ধস
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন