চবি প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরে চলমান সেশনজট নিরসন ও নির্দিষ্ট একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ দাবি জানিয়ে আসছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এবার তারা বাধ্য হয়ে আমরণ অনশনে গিয়েছেন।
শনিবার (২৪ মে) দুপুর ১২টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা সেশনজটে ভুগছেন এবং বিভিন্ন সময় প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে দাবি জানালেও আশানুরূপ কোনো সমাধান পাননি। ফলে বাধ্য হয়েই তারা আমরণ অনশনের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি দুটি হলো- সেশনজট নিরসন করে সর্বোচ্চ ৪ মাসের মধ্যে প্রতিটি সেমিস্টারের ক্লাস ও পরীক্ষা সম্পন্ন করা। আগামী ৩টি সেমিস্টারের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে, যেখানে ক্লাস শুরু, ফর্ম ফিল-আপ, পরীক্ষার রুটিন স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে এবং প্রশাসন তা বাস্তবায়নের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেবে।
বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, আমাদের সমস্যা নিরসনের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। বিগত প্রশাসন শুধু আশ্বাসই দিয়েছে। কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। এখন আমাদের দেয়ালে পিট ঠেকে গেছে। এজন্য অনশনে বসতে বাধ্য হয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন থেকে পিছপা হব না।
আরেকজন শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জাবেদ বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরেই সিনিয়রদের দুই তিনটা আন্দোলন দেখেছি। বিগত প্রশাসনের আমলেও আন্দোলন করতে হয়েছিল, এখনও করতে হচ্ছে। সেশন জট দূর করার ব্যপারে এ প্রশাসনের সঙ্গে দুই তিনবার কথা হয়েছে। কিন্তু এখনও তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ অনেক সিনিয়রদের চাকরির বয়স চলে যাচ্ছে। কারও পরিবারের সমস্যা। এগুলো কে দেখবে? আমরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই।
অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন তারেক মাহমুদ, আবুরাজিন মন্ডল, স্বাধীন বসু মিয়া , মিফতাহ জাহান মিম, পবিত্রতা রানী, শ্রুতি রাজ, হাফসা কাওসার মিশু, মোহাম্মদ জাবেদ, বখতিয়ারুল, আনাম, ওয়ালিউল্লাহ এবং ক্যএসিং মার্মা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চবির শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছিলেন। তবে তাদের কোনো দফাই সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি ফলে এবারে আমরণ অনশন গিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন