আমেরিকার হামলায় ধ্বংস হয়নি ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো

নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার হামলার পর ২২ জুন স্যাটেলাইটে ধারণ করা ইরানের ভূগর্ভস্থ ফোরডো পরমাণু ক্ষেত্রের চিত্র। ছবি: মাক্সার টেকনোলজিস/রয়টার্স

মূল্যায়নে বলা হয়েছে, অ্যামেরিকার হামলায় হয়তো কয়েক মাস পিছিয়ে গেছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি। ইরানের তিন পরমাণু ক্ষেত্রে ২২ জুন শুরুর সময়ে অ্যামেরিকার হামলায় তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল উপাদানগুলো ধ্বংস হয়নি বলে অ্যামেরিকার গোয়েন্দা তথ্যের প্রাথমিক মূল্যায়নে জানানো হয়েছে।

মূল্যায়নে বলা হয়েছে, অ্যামেরিকার হামলায় হয়তো কয়েক মাস পিছিয়ে গেছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি। সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তির বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, পেন্টাগনের গোয়েন্দা কার্যক্রম দেখভালকারী ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি-ডিআইএ হামলার মূল্যায়ন করে।

এ নিয়ে সিএনএনই প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে। সূত্রগুলোর একটি সিএনএনকে জানায়, ইরানে অ্যামেরিকার হামলার পর ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড যুদ্ধে যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে, তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন প্রস্তুত করে ডিআইএ।
ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রগুলোর ক্ষয়ক্ষতি ও অ্যামেরিকার হামলার প্রভাব নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে। আরও গোয়েন্দা তথ্য এলে মূল্যায়ন পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।

প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বারবার করা দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে। ইরানে হামলার পর তিনি বলেছিলন, আঘাতে ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে’ ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ ক্ষেত্রগুলো।
ট্রাম্পের পাশাপাশি সেক্রেটারি অব ডিফেন্স পিট হেগসেথ রবিবার জানান, ইরানের পরমাণু আকাঙ্ক্ষা ‘বিলীন’ হয়ে গেছে।

মূল্যায়নের বিষয়ে অবগত দুই ব্যক্তি জানান, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত ধ্বংস হয়নি। মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট একজন জানান, পরমাণু ক্ষেত্রের সেন্ট্রিফিউজগুলো মোটাদাগে ‘অক্ষত’ আছে। এ ব্যক্তি আরও বলেন, ডিআইএর মূল্যায়ন হলো অ্যামেরিকা সম্ভবত ইরানের অগ্রগতিকে সর্বোচ্চ কয়েক মাস পিছিয়ে দিতে পেরেছে। মূল্যায়নের বিষয়টি স্বীকার করে হোয়াইট বলেছে, তারা এর সঙ্গে একমত নয়।