চলমান ডেস্ক: ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সাথে তিনি ইউক্রেনের সেনাদের অস্ত্র সমর্পনের আহ্বান জানিয়েছেন। সব প্রকার অনুরোধ ও আহ্বান উপেক্ষা করে পুতিন বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) টেলিভিশনে আকস্মিক এ ঘোষণা দেন।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ছয়টার কিছু আগে পুতিন বলেন, ‘আমি সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে কেউ এতে হস্তক্ষেপ করলে তার কড়া জবাব দেয়া হবে।’
একই সাথে তিনি ইউক্রেনের সেনাদের প্রতি অস্ত্র সমর্পন করারও আহবান জানান।
এর আগে রাশিয়া থেকে বলা হয়েছে, ‘পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী নেতারা কিয়েভের বিরুদ্ধে মস্কোর প্রতি সামরিক সহায়তার আহবান জানিয়েছেন।’
এ দিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদমির জেলেনস্কি রাশিয়ানদের প্রতি এক আবেগঘন আবেদনে ইউরোপে বড় যুদ্ধ সমর্থন না করার আহবান জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘তিনি পুতিনের সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু নীরবতা ছাড়া কোন জবাব পাননি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ মুহূর্তে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার দুই লাখ সেনা রয়েছে।’
অন্য দিকে, পুতিনের ঘোষাণার আগে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এ দুই অঞ্চলের দুই নেতার মস্কোর উদ্দেশ্যে লেখা পৃথক দুইটি চিঠি প্রকাশ করা হয়।
উভয় নেতাই চিঠিতে ইউক্রেনের আগ্রাসন মোকাবেলায় তাদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে পুতিন ইউক্রেনের এ দুইটি অঞ্চলকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্রের স্বীকৃতি দেন।
এ দিকে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ নিইউয়র্ক স্থানীয় সময় নয়টা ৪০ মিনিটে ইউক্রেন সংকট বিষয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসে।
গত তিন দিনের মধ্যে নিরাপত্তা পরিষদের এটি দ্বিতীয় জরুরি বৈঠক। বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইউক্রেনে সেনা আগ্রাসন বন্ধ করতে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন, আপনার সেনাদের থামান। শান্তির সুযোগ দিন। ইতিমধ্যে অনেক লোক মারা গেছে।’
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন