নিউজ ডেস্ক: ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, গত কয়েক দিন তিনি নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য প্রত্যাহার ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইরানের দ্রুত ও সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের অনেক ভালো সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন। ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই ভোল পাল্টিয়েছেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
নিজ সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে শুক্রবার নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে কাজ করছিলেন তিনি, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনির বিবৃতির পর এসব প্রচেষ্টা স্থগিত করেছেন।
ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, গত কয়েক দিন তিনি নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য প্রত্যাহার ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইরানের দ্রুত ও সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের অনেক ভালো সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্টের ভাষ্য, নিষেধাজ্ঞার পরিণতি মারাত্মক। এটি তুলতে গিয়ে তিনি ক্ষোভ, ঘৃণা ও বিরক্তি সংবলিত একটি বিবৃতি পেয়েছেন। এ কারণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সব কাজ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন।
এর আগে চীন চাইলে এখন থেকে ইরানের তেল কিনতে পারে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি এ অবস্থানের কথা জানান।
এ পোস্টের মাধ্যমে ইরানের তেল বিক্রির ওপর দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। তিনি মত পরিবর্তন না করলে চীনের সঙ্গে ইরানের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তেল বাণিজ্য চালাতে আপত্তি থাকত না অ্যামেরিকার। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে ইউরোপ যাওয়ার প্রাক্কালে ট্রাম্প পোস্টটি দেন। এতে ইরানের পাশাপাশি অ্যামেরিকা থেকেও চীন বিপুল পরিমাণে তেল কিনবে বলে প্রত্যাশা করেন ট্রাম্প।
‘চীন এখন ইরানের কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখতে পারে। আশা করি তারা অ্যামেরিকার কাছ থেকেও প্রচুর পরিমাণে (তেল) কিনবে। এটি সম্ভব করতে পারা আমার জন্য বিশাল সম্মানের!’, ট্রুথ সোশ্যালে লিখেন ট্রাম্প। প্রায় দুই সপ্তাহের যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইরানকে সম্মত করায় মঙ্গলবার তেলের দাম পড়তে শুরু করে। এ চুক্তির ফলে মধ্যপ্রাচ্যে তেল পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের আশঙ্কা শেষ হয়।
ইরানের ওপর ২০১৮ সালে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে অ্যামেরিকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর তার প্রশাসন ইরানের তেল বাণিজ্যের ওপর কয়েক দফা নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয়। ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল ইরান থেকে তেল আমদানি করা চীনের তিনটি কোম্পানি। নিষেধাজ্ঞার ফলে তেল কেনা কমিয়ে দিতে হয় তাদের।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন