ইরাক-সিরিয়া সীমান্ত এলাকায় ইরানের মদদপুষ্ট মিলিশিয়া গোষ্ঠীর স্থাপনায় আত্মরক্ষামূলক বিমান হামলা চালাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এমনটি জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
পেন্টাগনের জনসংযোগ কর্মকর্তা জন কিরবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে ইরাকে মার্কিন সেনা স্থাপনা এবং সেনা সদস্যদের ওপর হামলাকারী মানববিহীন আকাশপথের বাহন (ইউএভি), যেগুলো ইরানি মদদপুষ্ট মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো পরিচালনা করে। বিশেষ করে, ইরাকের একটি এবং সিরিয়ার দুটি জায়গায় এদের অস্ত্রাগার এবং দাপ্তরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হবে। তিনটি জায়গার অবস্থানই ইরাক ও সিরিয়ার সীমান্ত লাগোয়া।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জন কিরবি আরও বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় যে বিমান হামলা চালানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জেনেবুঝেই মার্কিন সেনাদের রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইরানের মদদপুষ্ট গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর সদস্য ও স্থাপনা লক্ষ্য করে ধারাবাহিক হামলার জবাবে এই সামরিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ‘আগামীকাল আমি এ বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।’
তবে, এমন বিমান হামলার আদেশ দেওয়ার ঘটনা বাইডেন প্রশাসনের জন্য অবশ্য নতুন কিছু নয়। গত ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইরানি মদদপুষ্ট মিলিশিয়া বাহিনী রকেট হামলা চালালে এর জবাবে বিমান হামলার অনুমোদন দেয় মার্কিন প্রশাসন। সে সময় মার্কিন কংগ্রেসে আইনপ্রণেতারা এ নিয়ে আপত্তি জানান। তারা বলেন, বাইডেন কংগ্রেসের প্রয়োজনীয় অনুমোদন না নিয়েই এই আদেশ দিয়েছেন।
সে সময় মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ এবং জাতিসংঘ চার্টার অনুযায়ী এই হামলার অনুমোদন দেওয়ার কথা জানায় হোয়াইট হাউস।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন